শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
কাঠালিয়া প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সন্নিকটে ফুলসন বেগম নামের এক নারীর পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফুলসন বেগমের দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ফজলুল হক (৩৫) ও সহিদুল ইসলামকে(২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পর বিরোধী অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফুলসন বেগমের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে আমার মায়ের দখলীয় জমিতে (নানার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত) একটি ঘর উঠাই। বিকেলে প্রতিপক্ষ স্থানীয় নাসির হাং, আইয়ুব আলী, আনোয়ার ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বাবুর্চি ইমরামসহ ১০/১৫জন লোক সংঙ্গবদ্ধ হয়ে দাও-লাঠি নিয়ে নতুন নির্মিত ঘর জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে এবং হামলা চালায়। এতে বাঁধা দিলে এলোপাথারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমার দুই ভাই ফজলু ও সহিদসহ ৩/৪ জনকে আহত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একশ গজ দূরত্বে এ ঘটনা ঘটে। ফুলসন বেগমের ছেলেরা ঘর উঠায় সকালে আর প্রতিপক্ষরা ঘর দখলের চেষ্টা ও হামলা চালায় বিকেলে। পুলিশের পক্ষপাতিত্বের কারণে হামলাকারীরা এ ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়। এদিকে পুলিশ হামলাকারীদের কাউকে আটক না করে বরং ফুলসন বেগমের লোকদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং তার আহত দুই ছেলেকে তদন্ত কেন্দ্রে এনে ৫ ঘন্টা আটক করে রাখে। অবশ্য পরে মুচলেকায় ছাড়িয়ে এনে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
তাদের দাবি, বাবুর্চি ইমরান ও তার খালা মমতাজ বেগমের ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এ পক্ষালম্বন করে স্থানীয় লোকদের কাছে অনেকটা বির্তকিত হয়েছে। যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে সঠিক চিত্র উঠে আসবে।
প্রতিপক্ষ নাসির উদ্দীন হাওলাদার হামলা ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ওখানে আমরাও জমি পাবো তাই ঘর তুলতে বাঁধা দিয়েছি।
তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (চলিত দায়িত্ব) এস আই মোঃ রাসেল জানান, তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশেই সংঘবদ্ধ হয়ে দুটি পক্ষ মারামারি করতে ছিল। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে যারা মারামারি করতে ছিল তাদের মধ্যে থেকে দুই জনকে আটক করে কিছুক্ষন রেখেছিলাম। পরবর্তীতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।