শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
কাঠালিয়া প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অরক্ষিত বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (৩০ মে) সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মধ্যেই নদী তীরে দাঁড়িয়ে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ক্ষতিগ্রস্ত তিন শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে কাঠালিয়া লঞ্চঘাট, ফসল, বসতঘর ও মাছের ঘের রক্ষা ও জোয়ারের পানি ঠেকাতে সেচ্ছায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রা। ইতোপূর্বে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিশ্রুতি দিলেও বিষখালী নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে বিক্ষুদ্ধ হন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পানিবন্দী নদী তীরের মানুষ।
মানববন্ধন চলাকারে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদু সিকদার, বিআরডিবি’র চেয়াম্যান মো. কাওসার আহম্মেদ জেনীভ, এ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন অপু, ইঞ্জিনিয়ার আহসান উল্লাহ খান সবুজ, লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. তুহিন সিকদার প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিষখালী নদী তীরের অরক্ষিত বেড়িবাঁধের ৫ কিলোমিটার ভেঙে ফসলি জমি ও বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। ঝড়ের রাতে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিলেও পানির তোরে ভেসে গেছে বসতঘরে থাকা মালামাল। পানিতে তলিয়ে যায় আমুয়া, আউরা জয়খালী, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া, কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঠালিয়া, রঘুয়ার চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রায় দুইশত ঘরবাড়ি, তিনটি বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি। বর্তমানে কাঠালিয়া উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুরোটাই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অবশেষে বিক্ষুদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণীপেশার তিন শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে লঞ্চঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধের আংশিক সংস্কার করেন। বিষখালী নদীর হাত থেকে কাঠালিয়া উপজেলাকে রক্ষা করতে হলে ক্লক তৈরি করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।