রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
গরু চুরির অপবাদে এক কিশোরকে বেঁধে রাতভর অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গলায় জুতার মালা ঝোলানোসহ কোদাল দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে তার মাথার চুল।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং পশ্চিম সোনার পাড়া মোনাফ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আর এই অমানবিক দৃশ্যটি উপভোগ করে তার প্রতিবেশীরা। তারা এর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে সৈয়দ আহমদ নামের ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী সৈয়দ আহমদ পশ্চিম সোনার পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত কেউ এখনো আটক হয়নি।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জালাল আহমদ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জালাল উদ্দিন মানবপাচারসহ বহু মামলার আসামি বলেও জানান তারা। পরে অভিযুক্ত জালাল আহমদসহ চারজনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমদের বোন জোবাইদা বেগম।
জোবাইদা বেগম জানান, স্থানীয় সামশুল আলমের ছেলে জালাল আহমদ বিনা অপরাধে আমার ভাই সৈয়দ আহমদকে সোনারপাড়া বাজার থেকে ধরে নিয়ে গরু চোরের অভিযোগ এনে ব্যাপক নির্যাতন করে। সারা রাত বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। পরে কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করার নামে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ রফিক ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল্লাহ জানান, যে গরুটি চুরির অভিযোগ করা হয় সে গরুটি মুহাম্মদের বাড়িতেই ছিল। তবু অপরাধী হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মারধর না করার অনুরোধ জানাই। তারা সেটা শোনেনি।
তিনি আরো বলেন, শনিবার সকালে খবর পাই কোদাল দিয়ে ছৈয়দের মাথা মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাতভর মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন করেছে তারা। এর একটি ভিডিও হাতে পাই।
অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এলাকায় যাতে আর কোনো সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, পুরো এলাকাবাসীকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। তাতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার নবাগত ওসি মোহাম্মদ মন্জুর মোরশেদ জানান, আমি সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি। অভিযোগটি আমার কাছে এখনো আসেনি। এ রকম অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।