বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
রূপালী স্বাস্থ্য।।
ব্যথা নিয়ে কে বাস করতে চায়? তবে একে নিয়ন্ত্রণের উপায় রয়েছে। হয়তো সকালে ব্যাপক যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙে। হয়তো আগের রাতে এই কারণে ঘুমাতে পারেননি। ব্রিটেনের এক জরিপে বলা হয়, ২০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ব্যথায় অস্থির থাকেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল এর অনলাইনে বলা হয়, ক্রনিক পেইন সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের সমস্যা। পৃথিবীজুড়ে এটা বড় যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুই ধরনের ব্যাথায় আক্রান্ত হয় মানুষ। অ্যাকুট পেইন এবং ক্রনিক পেইন। অ্যাকুট পেইন হঠাৎ করেই আসে। এর কারণও ভিন্ন হয়ে থাকে। এটা চলেও যায়। তবে ক্রনিক পেইন বহুদিন ধরে থাকে। এটা টানা তিন মাস বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে। ক্রনিক ব্যথার সঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জড়িয়ে থাকে ব্যাক পেইন, অস্টেওআরথ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস। ক্রনিক পেইন মানুষের জীবনটাকে নরক বানিয়ে দেয়। তার জীবনযাপন বদলে যায়। তাই একে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর তা নিয়ন্ত্রণের ভালো উপায়ও রয়েছে। অথচ এর সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেই বললেই চলে।
প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেইন বা ট্রামাডোল গ্রহণ করে মানুষ। এদের প্রয়োগ সঠিকভাবে হলে উপকার মেলে। ব্যথা বুঝে বিভিন্ন মাত্রায় পেইন কিলার গ্রহণ করতে হয়। নয়তো হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
তবে মনে রাখতে হবে, ব্যথা কমাতে কেবলমাত্র ওষুধের ওপর নির্ভর করা চলবে না। এর অন্যান্য উপায়ও রয়েছে। বেশ কয়েক ধরনের যন্ত্র রয়েছে যেগুলো বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মাধ্যমে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। ইলেক্ট্রিক্যাল সংকেত দেহের ব্যথার সংকেতকে আটকে দেয়। এ ছাড়া এন্ড্রোফিন্স হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। এটা দেহের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক।
হট অ্যান্ড কোল্ড পদ্ধতিও বেশ কাজের। তাপ ব্যথার তীব্রতা কমিয়ে আনে। আর ঠাণ্ডা প্রদাহ কমায়। আসলে আপনার ক্রনিক ব্যথার জন্য পদ্ধতি বেশি কার্যকর তা বিশেষজ্ঞই ঠিক করে দিতে পারবেন। তাই দেরি না করে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।