সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
নিখোঁজের দেড় মাস পর মুন্সিগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুসম্পর্কের খালা সুলতানা রুমাসহ (৫০) দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার রামপালের শিকদারবাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কাজী রফিকুল ইসলাম রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার মৃত কাজী জাহের উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি। অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে না পেয়ে ৬ নভেম্বর তার ছোট ভাই মো. আমিনুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় একটি জিডি করেন। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের খালা রুমা বেগম ও গৃহকর্মী আম্বিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আটক রুমা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, কাজী রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে তার দূরসম্পর্কের খালা রুমা বেগমের ২৬ বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রুমার স্বামী জসিম উদ্দিন খন্দকার ঢাকার বাড্ডায় থাকেন। রনি কথিত খালার বাড়ি যেতেন এবং সেখানে লুকিয়ে রাতযাপন করতেন। একপর্যায়ে রনির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এতে রুমা বাঁধা দেন এবং তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতেন তিনি।
ঘটনার দিন গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের ভেতর একটি কাপড় রাখার ট্রাংকের ভেতর লুকান রনি। একপর্যায়ে ট্রাংক লক হয়ে যায়। ২ ঘণ্টা পর রুমা ট্রাংক খুলে দেখেন রনি মারা গেছেন। সারাদিন এবং রাত পেরিয়ে পরদিন ভোরে রনির মরদেহ রুমা এবং আম্বিয়া সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেন।