শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
খুশকি আমাদের শরীরের অন্যতম একটি সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়। শরীরের সেবিয়াম গ্রন্থির প্রদাহের ফলে সাধারণত খুশকি হয়। খুশকির প্রভাবে মাথায় প্রচণ্ড চুলকানি ছাড়াও চুল নিয়মিত পড়তে পারে। খুশকির জন্য যদি ব্যক্তি বিশেষে রোগগুলো নির্ণয় করে চিকিৎসা করা হয়, তবে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। আর যদি অনুমানভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে তেমন ভালো ফল আসে না।
কোথায় হয়: খুশকি সাধারণত মাথার ত্বকে, মুখে, বুকে, চোখের পাপড়ি, নাকের দুই পাশে হয়ে থাকে। খুশকি নারীর তুলনায় পুরুষের বেশি হয়। খুশকি সব বয়সে হলেও তরুণ বয়সে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
কারণ: খুশকির মূল কারণ এখনো জানা যায়নি। সাধারণত ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে এ সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণেও এটি হয়।
প্রতিকার: যদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে চুলের খুশকি হয়, তবে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ফাংগাস দ্বারা সংক্রমিত হলে অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ, আর অ্যালার্জির কারণে খুশকি হলে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ সেবন করতে হবে। এ ছাড়া খুশকি দূর করতে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক শ্যাম্পুও ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদি খুশকির সমস্যা প্রকট হয়, চুলে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এর পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুবার করে দুই থেকে চারমাস ব্যবহারে খুশকি কমে যায়। এ ছাড়া অ্যান্টিফাংগাল ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। খুশকির প্রকোপ বেশি হলে স্টেরয়েড লোশন ব্যবহার করতে পারেন। অথবা মাইল্ড স্টেরয়েড মুখে খাওয়া যেতে পারে।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।