শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
জাকিরুল আহসান।
গরম ভাজা খাইতে মজা, ঘটি গরম চানাচুর…। সুরেলা কন্ঠে ছন্দ শুনিয়ে শীতের সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর অলিগলি গরম করেন শাহে আলম। আর তা শুনে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্কদের অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন সড়কে। মুহূর্তে চানাচুর বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় শাহে আলমের। এভাবেই যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার সংসার।
রূপালী বার্তাকে এসব কথা বলছিলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহে আলম রাড়ী। তিনি জানান, আজ থেকে ১০ বছর আগে স্বপ্ন দেখেন ভালো আয় রোজগার করবেন। তারপরই চলে আসেন বরিশাল শহরে, কিন্তু কি পুজি ছাড়া কি ব্যবসা করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২০০০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন চানাচুর বিক্রি করবেন। সেই থেকে শুরু, দশটি বছর কেটে গেল চানাচুর বিক্রিতেই।
শাহে আলম জানায়, চানাচুরের এই ব্যবসা করে মা, স্ত্রী আর দুই ছেলে নিয়ে তার পাঁচজনের সংসার ভালোই চলে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই আয় হচ্ছে ৭/৮ শত টাকা। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় গরমের দিনে। ওই সময়টাতে গরম চানাচুরের বিক্রি কমে যায়। এতে তেমন আয় হয় না, তাই ভাড়ায় রিকশা চালান। এতে সব খরচ শেষে টেকে ৩০০ টাকা। যা দিয়ে ৫ জনের সংসার আর ছেলেদের পড়ার খরচ চালানো কঠিক হয়ে পড়ে। তাই শাহে আলমের কাছে শিতের দিনই পছন্দ।