শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
হারুন অর রশিদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী)।।
গলাচিপায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার ও সেবিকাদের। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বেড না পাওয়ায় অনেক রোগীদের মেঝেতে বিছানা করেই স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক হারে ডায়রিয়া জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে ৪৭ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রচ- গরম ও ঠান্ডার মিশ্র পরিবেশ সৃষ্টির ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। এছাড়া মৌসুমী ফল তরমুজ খাওয়ার কারণেও ডায়রিয়া হয়ে থাকে পারে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বেড ছাড়া মেঝেতে জায়গার সংকুলান হচ্ছেনা। কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অনেক রোগী হাসপাতালের মেঝেতেই অবস্থান নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ইয়াসিনের (৬ মাস) বাবা পুরামিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ করে আমার ছেলের পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু হাসপাতালের বেড খালি না থাকায় ছেলেকে নিয়ে মেঝেতে আছি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহরিয়ার জানান, অন্যান্য রোগীদের চেয়ে ডায়রিয়া জনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ সময় ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া জনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ একটু বেশি থাকে। এছাড়া তরমুজ খাওয়ার কারণেও ডায়রিয়া হয়ে থাকতে পারে। হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপের কারণে খাবার স্যালাইন ও পুশ করা স্যালাইন কয়েকবার এনেছি। রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও সেবিকা কাজ করছে।