শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
টঙ্গী পশ্চিম থানার দাঁড়াইল এলাকায় অবস্থিত এসঅ্যান্ডপি বাংলা লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় নামাজ, দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি নিষিদ্ধ করে নোটিশ টানানো হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফের নোটিশ টানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ফের টানানো নোটিশে বলা হয়, কারখানার ৫ম তলায় অজুর ব্যবস্থাসহ নামাজের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় পোশাকসহ আগের নোটিশে যেসব বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
উল্লেখ্য, কারখানাটির কোরীয় মালিক গত মঙ্গলবার কারখানা অভ্যন্তরে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কারখানার প্রধান ফটকে নোটিশ টানিয়ে দেয়। নোটিশে দাঁড়ি, টুপি ও পাঞ্জাবির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে কারখানাসহ আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
বুধবার (০৪ আগস্ট) রাতে জিএমপি ও শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি সিদ্দিকুর রহমান জানান, গোয়েন্দা রিপোর্টে তারা জানতে পারেন কারখানাটির আলোচিত নোটিশে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এ নোটিশকে কেন্দ্র করে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শিল্প পুলিশ আগেভাগেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগোযোগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কট বাকাউন বলেন, আমি বাংলা পড়তে পারি না। দৈনিক প্রায় এক হাজার কাগজে আমাকে স্বাক্ষর করতে হয়। কারখানার এইচআর ম্যানেজার বাংলা ভাষায় আলোচিত নোটিশ নিয়ে গেলে আমি না বুঝেই স্বাক্ষর করি। নোটিশটি টানানোর পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আমি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাহার করে পাল্টা নোটিশ টানাতে বলি।
তবে কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানার এমডি কট বাকাউনের স্ত্রীর নির্দেশে ওই নোটিশ টানানো হয়। কট বাকাউনের স্ত্রী কারখানাটির চেয়ারম্যান।