রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগের ২২দিন পার হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর পিতা মেজবাহুল আজম জানান, ২০১৭ সালে উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের দারিকা গ্রামের বাসিন্দা নাইমুল ইসলাম লিমনের (২৬) সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিজয়রাম তবকপুর গ্রামের তামান্না বেগমের (২২) বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তামান্নাকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো বলেও জানান ভুক্তভোগীর বাবা।
এক পর্যায়ে স্বামী লিমন তামান্নার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তামান্নাকে তলপেটে আঘাত করেন। রক্তপাত শুরু হলে তাকে অজ্ঞাত একজনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। গর্ভপাতের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যও তামান্নাকে চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর বাবা।
গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তামান্না তার বাবাকে ফোনে জানান। এরপর গত ২৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী তামান্নার বাবা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বলেও জানান।
ঘটনায় তামান্না বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং যৌতুকের জন্য মারপিট করে গর্ভপাত করার অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি মামলা করেন।
তামান্না বেগম জানান, মামলা করার ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতনকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মেজবাহুল আজম পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ৩ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি অফিসার ইনচার্জকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।