বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
লাইফস্টাইল।।
ত্বক কিংবা চুলের সমস্যা, অথবা পেটের গন্ডগোল, সব কিছুর জন্য লিভারকে দায়ি করা যায়। বর্তমানে জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ছে। ভুঁড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের চারপাশে চর্বি জমে, ফলে লিভারের কর্মদক্ষতা কমে যায়। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ফ্যাটি লিভার দেখা যায়।
লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তা বিশেষ চিন্তার নয়। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ ফ্যাট জমে, তাহলে লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের আকার নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেক সময় লাগে। আক্রান্ত হলে পেটের ওপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তি, খিদে কমে আসা, মনোযোগের অভাব— ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। বর্তমানে কমবয়সিদেরও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
শরীর থেকে মেদ ঝরাতে তেঁতুল দারুণ উপকারী। তেঁতুলের মধ্যে ভরপুর খনিজ, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। তেঁতুলের ক্বাথ পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার যেমন হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উৎস। ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাথে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবারের টক্সিন শরীরে পৌঁছতে দেয় না। লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে।
এ ছাড়া তেঁতুলে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনে রয়েছে। এই সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখতে পারেন। রান্নায় বেশি করে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাঙালি রান্নায় তেঁতুলের প্রয়োগ কম। সে ক্ষেত্রে তেঁতুলের শরবত নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
যেভাবে তৈরি করবেন তেঁতুলের শরবত: কিছু তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাথ বের করে নিন। এবার গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ভাজা জিরে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, বিটনুন, গোলমরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিন। এরপর বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।