শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডে পানিভর্তি বিল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত খাদিজার (১৪) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বেওয়ারিশ হিসেবে ভোলা আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। হত্যা ঘটনায় চরফ্যাশন থানা পুলিশ উৎঘাটন করতে ব্যর্থ বলে একাধিক সূত্রে অভিযোগ রয়েছে।
জাহানপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের ফারুক মিয়ার মেয়ে মৃত খাদিজাকে গ্রহণ করেনি তার পরিবার। মেয়ের এমন রহস্যময় নিশংস মৃত্যুর খবর তার পরিবার জেনেও একনজর দেখতে আসেনি। না চেনার ভান করে গ্রহণও করিনি মেয়ের লাশ। মৃত খাদিজার নামের জায়গায় লেখা হয়েছে বেওয়ারিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরফ্যাসন থানার এস আই খাইরুল ইসলাম জানান, রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মেয়েটির ফুফু ও ফুফাতো বোনকে তদন্তের স্বার্থে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জবানবন্দি নেয়ার পর ছেড়ে দেয় হয়।
সরেজমিনে জাহানপুর ইউনিয়ন মৃত খাদিজার বাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, অর্থের লোভে মেয়েটির অমতে বাবা ও ফুফু মিলে ঢাকায় এক সন্তানের জনক বয়স্ক তোফায়েলের সঙ্গে অপ্রাপ্ত বয়স্ক খাদিজাকে বিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবে বয়স্ক স্বামীকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। ইতিপূর্বে একাধিকবার মেয়েটির বাবা ফারুক ঢাকায় স্বামীর নিকট দিয়ে আসলে, কাউকে না বলে আবার চরফ্যাশনে চলে আসতো খাদিজা। ওর “মা” নেই। মাকে পিতা ফারুক অনেক আগেই ডিভোর্স দিয়েছিলো। মেয়ের এমন আচরণ, স্বামীকে মেনে না নেয়া এবং অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে সন্দেহে মধ্যযুগীয় কায়দায় পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করতো পাষন্ড পিতা।
এ সকল ঘটনায় মেয়েটির বাবা ফারুক এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কোথাও খুঁজে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। খাদিজার ফোন কল ট্র্যাকিং করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন নির্মম হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাট করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। ইতিমধ্যে প্রয়োজন মনে করে কিছু লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান।