শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
আমির হোসেন, চরফ্যাশন (ভোলা)।।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চরফ্যাশনে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । বাজারে চাল, ডাল, তেল, নুন, পেঁয়াজ, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। নিম্নআয়ের মানুষ যা আয় করছে, তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূন্যতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে থাকছে না।
আয় যে হারে বেড়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নিয়ন্ত্রণ যে নেই তাতো আরও সুস্পষ্টভাবে বোঝা গেল বর্তমান বাজারে,তেল,নুন,আলু,পেঁয়াজ,চিনি ও শাকসবজি থেকে শুরু করে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে তুঘলকি কান্ড দেখে।অর্থনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাজারে চাহিদা ও জোগানের ওপর দব্যমূল্য নির্ভর করে কিন্তু এ সংজ্ঞা এখানে ফেল করেছে।
বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য। সরকারি উদ্যোগ, পত্রিকায় লেখালেখি, আলোচনা, সমালোচনা বহু কিছু হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব পন্যের দাম কমায়নি, বরং অনেক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। চাল, ডাল, তেল, নুন, শাকসবজি, ওষুধপত্র থেকে শুরু করে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। শুধু কি তাই, এত উচ্চমূল্য দিয়ে যেসব দ্রব্য কিনছি তা-ও ভেজালে ভরা।
চরফ্যাশন বাজার সরে জমিন পরিদর্শন করে দেখা যাচ্ছে সয়াবিন তৈল কেজি পেয়াঁজ ৬০টাকা, ১৪০টাকা,সীম ১০০টাকা, পেপেঁ ৪০টাকা, লাউ প্রতিপিচ ৫০টাকা, টমেটো ১৮০টাক চলছে।
চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষী বলেন, স্থানীয় সবজি বাজারে কম আসায় খরচ বেশী পড়ে যায় ফলে মূল্য একটু বেশীতে বিক্র করতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, দ্রব্যমূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশী কেউ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।