শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
মানিকগঞ্জের ঘিওর এলাকায় বিয়ের পর চাকির না ছাড়ায় গলা কেটে গৃহবধূ সুমি আক্তারকে (২২) হত্যার অভিযোগে স্বামী মো. রাসেল মোল্লা ওরফে রূপককে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, বিয়ের পরেও চাকরি করে যাবেন এমন কথা ছিল সুমির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ে হওয়ার কিছু দিন পরেই সুমিকে চাকরি ছাড়তে চাপ দিচ্ছিল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চাপ দেওয়ার পরেও চাকরি ছাড়তে রাজি না হওয়ায় সুমির স্বামী রূপক তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর বলেন, ২১ জুলাই মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাধীন শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমির গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্তের ধারাবাহিকতায় আসামি রূপককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রূপক মানিকগঞ্জ জজকোর্টে অ্যাডভোকেটের সহকারী হিসেবে প্রায় ৯ বছর ধরে কাজ করতেন। আড়াই মাস আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে সুমির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সুমি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।
তিনি বলেন, কথা ছিল সুমি বিয়ের পরও চাকরি করবেন। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে চাকরি ছাড়ার জন্য রাজি হলে অফিসের অনুরোধ অনুযায়ী কিছুদিন সময় চান সুমি। চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ২১ জুলাই রূপক ও সুমির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমিকে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন রূপক। এ সময় তার শাশুড়ি রূপককে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রূপক আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুমির গলায় কোপ দেন। এতে সুমি মারা যান।