শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ‘ব্যক্তিগত কার্যালয়ে’ এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৫ মে) রাতে করা মামলায় পুলিশ আসামি লিটন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই কিশোরীর বাড়ি নগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। আসামি লিটনের বাড়ি সুনামগঞ্জের জামালপুর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। লিটনের বয়স প্রায় ৪০। তিনি বিবাহিত।
নয়াগাঁও বাজারে ৫ মের ওই ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারসহ স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি সমাধানের আশ্বাস দেন বলে জানান বাদী। ফলে মেয়েটির দরিদ্র পরিবারটি এতদিন তা প্রকাশ করেনি। কিশোরীর বাবা মামলা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
সম্পর্ক গড়ার সময় লিটন আসল নাম গোপন করে হৃদয় নামে পরিচয় দেন এবং জানান তার বাড়ি নগর ইউনিয়নের আদমপুরে। ৫ মে রাতে লিটন কিশোরীকে নয়াগাঁও বাজারে ওই চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য পল্টু সামন্ত ঘটনার স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতাকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আদমপুর থেকে নিয়ে এসেছি সত্য। ঘটনার বিষয়ে সঠিক বলতে পারব না।
এ ঘটনার পর কিশোরীর অভিভাবকরা চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারের সহায়তা চাইলে তিনি ঘটনাটি মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরিবারটি ঘটনাটি গোপন রেখে অপেক্ষা করতে থাকে। তবে ২০ দিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বুধবার রাতে মেয়েটির বাবা খালিয়াজুরী থানায় মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ রাতেই লিটনকে বল্লভপুর এলাকার একটি হাওর থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদার বলেন, লিটন তার কোনো আত্মীয় নন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রেক্ষিতে অপরাধে মামলা রুজু করে আদালতে ধর্ষককে পাঠানো হয়েছে।