বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
বৃদ্ধ ভিক্ষুকের লাঠির আঘাতে চিৎপটাং ছিনতাইকারী। আর সেই আঘাতেই এক নারীর গলা থেকে সোনার চেইন নিয়ে পালাতে গিয়ে হন ধরাশায়ী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে ঘটে এমন ঘটনা।
পরে আশপাশের লোকজন ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এর জন্য বাবুল মিয়াকে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি পুরস্কৃত করেন।
সাতষট্টি বছর বয়সী বাবুল মিয়া শোনালেন ছিনতাইকারীকে ধরাশায়ী করার গল্প। বললেন, ব্রিজের ওপার থেকে নিয়ে এপারে চলে আসে দৌড় দিয়ে। পেছনে একটা ছেলে বলতেছিল চোর-চোর। কেউ এগিয়ে আসতেছিল না। আমি লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে বসিয়ে ফেলি।
এক সময় কারওয়ান বাজারে চায়ের দোকান ছিল তার। ছিল সংসার। সব হারিয়ে তিনি এখন একা। বাধ্য হয়েই উত্তরা এলাকায় ভিক্ষা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোন থাকলেও মনোমালিন্যের কারণে সেখানেও যাওয়া হয় না। জানালেন, করোনার পর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু তার।
বৃদ্ধ বাবুল মিয়ার সময়োচিত কাজটির পর অন্যরা এসে সেই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দেন। ছিনতাইকারীর নাম সবুজ। বাড়ি পিরোজপুর। পুলিশের ভয়ে সবুজ চেইনটি গিলে ফেলে। থানায় নেয়ার পর সেটি বের করতে বাধ্য হয় সবুজ।
ছিনতাইকারী ধরতে সহায়তা করায় বাবুল মিয়াকে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন পুরস্কৃত করেন। তিনি বলেন, এমন কাজগুলোকে উৎসাহিত করতে বাবুল মিয়াকে আমরা পুরুস্কৃত করেছি। জনগণের সহায়তা ব্যাতীত আমরা সফল না।