সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বলেছেন, কিছু দেশে লকডাউন জারি করায় সংক্রমণ কমেছে এবং অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে। তবে এই লকডাউনের কারণে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় জীবন-জীবিকা রক্ষায় ধীর-স্থিরভাবে লকডাউন তুলতে হবে। অর্থনীতি সচল করার পাশাপাশি নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যেন তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্প্রতি জেনেভা থেকে অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আলজাজিরার এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মহাপরিচালক আধানম গেব্রেয়েসাস বলেন, কিছু দেশে লকডাউন প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। কিন্তু লকডাউন তুলে নেওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও চীনে আবারও আক্রান্ত বেড়েছে। তাই পুনরায় সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শিথিলের আগে থেকেই চরম সতর্ক অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তার মতে, লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া জটিল ও কঠিন চ্যালেঞ্জ। জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো চীনের উহানেও ফের গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে পুনরায় সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো প্রস্তুতি এই তিনটি দেশের আছে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ না কোনো টিকা আবিষ্কার হচ্ছে ততক্ষণ সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
তবে যেসব দেশ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিয়ে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র পথে হাঁটছে তাদের সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক সেরোলজিকাল গবেষণায় দেখা গেছে, খুব অল্প মানুষের শরীরেই নতুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ফলে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
এদিকে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে দেশগুলোকে তিনটি প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বলেছেন তিনি। এগুলো হলো :সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে কি? সংক্রমণ বাড়লে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বাড়তি চাপ নিতে তারা সক্ষম কি না? এবং জনস্বাস্থ্য নজরদারি ব্যবস্থা রোগী ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে ও সংক্রমণ বৃদ্ধি চিহ্নিত করতে সক্ষম কি না? মহাপরিচালক বলেন, এই তিন প্রশ্নের উত্তর ইতিবাচক হলেও লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়টি জটিল ও কঠিন।
একই সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেন, অনেক দেশ লকডাউন তুলে নেওয়ায় আমরা কিছু আশা দেখতে পাচ্ছি। তবে এর সঙ্গে চরম সতর্কতাও মেনে চলতে হবে।