সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
বুক জ্বালা-পোড়া হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হল গ্যাস, বমি বমি ভাব, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মুখে কোন কিছুর স্বাদ না লাগা, পেটে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। তবে প্রায় সময়ই দেখা যায় বেশি ফ্যাটযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার ও এসিডযুক্ত খাবার খেলে পেটে ব্যথা বা বুকে জ্বালা-পোড়া ভাব হয়ে থাকে। এই সমস্যা রোধ করতে আছে কিছু ঘরোয়া উপায়। চলুন তাহলে জেনে নিই।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা খাবার সোডা হিসেবেও পরিচিত। এটি খুব দ্রুত বুকের জ্বালা-পোড়া সমস্যা রোধ করে থাকে। বেকিং সোডার প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড উপাদান কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুকের জ্বালা-পোড়া সমস্যা দূর করে দেহকে যন্ত্রণা মুক্ত করে।
১. এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ বেকিং সোডা নিয়ে মিশিয়ে নিন।
২. তাৎক্ষণিকভাবে বুকের জ্বালা-পোড়া রোধ করতে এই পানীয়টি পান করুন। আপনি চাইলে এই পানীয়তে সামান্য লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।
পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা বুক জ্বালা-পোড়া সমস্যা রোধ করতে খুব সহায়ক।
১. পুদিনা পাতা কুচি করে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২. ভিজিয়ে রেখে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩. প্রতিদিন ২-৩ বার এই পানীয় পান করুন।
৪. আপনি চাইলে বুক জ্বালা-পোড়া সমস্যায় পুদিনা পাতা চিবিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি পাকস্থলীর কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে পুদিনা পাতা না খাওয়াই ভালো।
ভিনেগার: এসিড রিফ্লাক্স সমস্যার কারণে বুক জ্বালা-পোড়া করলে তখন ভিনেগার খুব উপকারী। সব ধরনের ভিনেগার বুক জ্বালা-পোড়া কমাতে উপকারী, তবে বিশেষ করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুব ভালো।
দুধ: বুক জ্বালা-পোড়া সমস্যা দ্রুত সারাতে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খুব উপকারী। ঠাণ্ডা দুধ দেহের খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে আরাম প্রদান করে। আপনি যদি দুধ খেতে পছন্দ না করেন বা সেই মুহূর্তে দুধ না থাকে তাহলে দুগ্ধ জাতীয় অন্য কোন খাবারও খেতে পারেন। এই ঘরোয়া উপায়টি খুব ভালো যারা প্রায় সময়ই বুকে জ্বালা-পোড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।