শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
জ্যোতির্ময়ী
-এ কে সরকার শাওন
শান্ত মৌন প্রভাতে
আলো-ছায়ার বিদায় বিধূরক্ষণে,
পাখ-পাখালীর আনন্দ কলতানে,
সূর্যের আলোক রশ্মির নাচনে
অন্তরলোকের রূপালী জানালা খোলে।
স্মৃতির মণিমালা ঝিকিমিকি করে,
মৃদুমন্দ বায়ে সবুজ পাতারা কাঁপে
তেমনি কাঁপন ধরে অন্তরে;
তাঁরেই পড়ে মনে!
তাঁরে কি করে থাকি ভুলে!
বেলা দ্বিপ্রহরে;
একাকী কবির উদাস নয়ন
জানালার বাহিরে যতদূরে যায়,
রৌদ্রস্নাত সুনীল আকাশে,
দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ শ্যামল মাঠে
জীবনের প্রতিচ্ছায়া ক্রমাগত ভাসে!
সে আসে সে হাসে সে ভাসে
মনের রূপালী পর্দায়!
হঠাৎ হাওয়ায় মিশে নিরাকার হয়ে
শূণ্যমনের খাঁচায় ঝাকি দিয়ে যায়।
তাঁরেই মনে পড়ে
তাঁরে ভোলা থাকা দায়!
একাকী পড়ন্ত বিকালে,
আলো-ছায়ার বিরহ বেলায়;
হৃদয়ের রক্তক্ষরণে সমস্ত আকাশটা
রক্তিমাভ হয়ে ভেঙ্গে পড়ে বুকফাটা কান্নায়!
পাষাণের বুকেও শিহরণ জাগে
স্রোতস্বিনী নদীর মত
ভালবাসা প্রবাহিত হয় শতধারায়।
আমি স্তদ্ধ নিথর পাথর বনে যাই;
পৃথিবীর সব রূপ-রং-রস ভোলা যায়;
তাঁরে ভোলা নয়! তাঁরে ভোলা নয়!
অশ্র ভেজা দু’চোখ সেই কথা কয়!
অতঃপর সন্ধ্যা নামে!
আকাশজুড়ে অপরূপ তারামণ্ডল,
চারিপাশে মোহাবিষ্ট অদ্ভুদ আঁধারে
পৃথিবীজুড়ে ঘুমের রাজ্যে সবাই হারায়!
আমার নির্ঘুম দু’চোখ অপলক;
কখনো তারামন্ডলের সাথে
কখনো রহস্যাবৃত আঁধারের সাথে
মিতালী পাকায়!
সেইক্ষণে হৃদয় কথা কয়,
জ্যোতির্ময়ীর অগমনে আঁধার হারায়!
সব চাওয়া পাওয়ার
হিসাব চুকে যায় তাঁর ছোঁয়ায়;
যে আমাকে ভালবাসে অসীম মমতায়,
দিবা-রাত্রি ঋতু পরিক্রমায়
তাঁকে মনে পড়ে;
তাঁকে ভোলা না যায়!
জ্যোতির্ময়ী
আলো-ছায়া
এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ, উত্তরখান, ঢাকা।