শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
আমাদের দেশের শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সকল হাটবাজারে প্লাস্টিক পণ্যের সমারোহের কমতি নেই। ফেরিওয়ালারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরেও প্লাস্টিক পণ্যে সওদা করছে। লাল-নীল-হলুদ, নানা রঙের প্লাস্টিকের থালা-গ্লাস-বাটি সাজিয়ে বসেছেন দোকানি। দাম বেশি না। ক্রেতাদের তাঁরা এও জানাচ্ছেন, শুধু দেখতেই শুধু সুন্দর নয়, মাইক্রোওভেনেও বসাতে পারেন এই সব পাত্র। আর তার ফলে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে সস্তার প্লাস্টিক পণ্য। সচেতনতার অভাবে এসব সস্তা প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার এতোটাই বেড়ে গেছে যা ডাক্তাররা রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
প্লাস্টিক থেকে নির্গত হয় যে ‘বিসফেনল এ’ (বিপিএ)- সেই বিপিএ মুক্ত প্লাস্টিক সামগ্রীর মান যদি ভাল হয়, সে ক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। আর একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত যে প্লাস্টিক পাত্রটি মাইক্রোওভেন ব্যবহার যোগ্য লেখা (ছাপ) না থাকলে কোনও ভাবেই তা মাইক্রোওভেনএ ব্যবহার করবেন না।
World Health Organization (WHO)-র বক্তব্য, বোতলের গা থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে রোগ ছড়াতে পারে। প্লাস্টিকের পানির বোতল ফ্রিজে রাখাটা আরো ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডাতেও রাসায়নিক পদার্থটি নির্গত হয়।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।