বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
মামুন হোসেন, ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর)।।
আগামী ২১ জুলাই মুসলীম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এ উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সংলগ্ন পোনা নদীর তীরে নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের স্থানীয় শিয়ালকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সলংগ্ন এলাকায় গড়ে উঠতো দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সব চেয়ে বড় কোরবানীর পশুর হাট।
এ ঐতিহ্যবাহী হাটে খাজনা না থাকায় প্রতি বছর ওই গ্রামের পাশবর্তি পোনা নদীর তীরে ও স্কুল মাঠ এলাকার সর্বত্র হাজার হাজার পশু উঠতো ও মানুষের পদচাণার দৃশ্য দেখা যেতো। ওই সময় প্রতিদিন হাটে ৩ থেকে ৪ শ’ গরু বিক্রি হতো। কিন্তু এ বছর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রামনের বৃদ্ধির কারণে পশুর হাটটি এখন একদম ফাঁকা।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে সরেজমিন পরির্দশনে গিয়ে যানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এ গরুর হাটে আগের মত পশু উঠেনি। নেই ক্রেতা বিক্রেতাদের কোন ভীড়ও। দেশ স্বাধীনের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে উপজেলার নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামের নদীর তীরে প্রায় দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার জুড়ে এ কোরবানির পশুর হাট মিলে আসছে। এছাড়া এখানে সপ্তাহে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার নিয়মিত পশুর হাট বসছে। এ হাটে খাজনা না থাকায় খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশালের পাইকার সহ পার্শবর্তী জেলা, উপজেলা থেকে দেশি বিদেশী গরু- ছাগল ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা খুব কম বলে জানান স্থানীয়রা।
হাটে রশিদ কাটার দ্বায়ীত্বে থাকা মো. মনির হাওলাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। এবার হাটে দুই শতাধীক দেশি-বিদেশী গরু উঠছে। তার মধ্যে ৫০ টি গরু বিক্রি হয়েছে। আগের মত গরুও উঠেনি, আর ক্রেতাও নেই। গরুর হাটে খাজনা না থাকলেও স্থানীয়দের সমন্বিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাট সংলগ্ন স্কুলটির উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য গরু প্রতি ৫০/৬০ টাকা নেয়া হচ্ছে । তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে ক্রয়-বিক্রয় করছেন। তবে, শেষের দুই হাটে বিক্রি বাড়তে পারে।
স্থানীয় পাইকাররা নাদিম হোসেন জানান, তিনি পশু কিনে বিপাকে পরেছেন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হাট না বসায়। এতে তিনি আর্থীক ক্ষতিগ্রস্থ্য হবেন।
হাট সংলগ্ন শিয়ালকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিরন চন্দ্র বসু জানান, বাজারের সরকারি খাজনার টাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ব্যক্তিগত ভাবে পরিশোধ করেন। এ বছর করোনার কারনে অন্য সব বছরের চেয়ে পশু বেচা কেনা অনেক কম হবে। হাটে পশুর রোগ শনাক্তের জন্য মেডিক্যাল টিম ও জাল টাকা শনাক্ত এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সতর্ক করতে পুলিশ প্রশাসন নিয়োজিত রয়েছে।