শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
মুলাদী প্রতিনিধি॥
আসন্ন মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনে দফায় দফায় বসেও মেয়র প্রার্থী দিতে পারছে না বিএনপি। তফসিল ঘোষনার পরে কয়েক দফা বৈঠক করলেও অভ্যন্তরিন কোন্দলে মেয়র প্রার্থী হিসেবে কাউকে বাছাই করতে পারেনি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নের্তৃবৃন্দ। উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ইতোমধ্যে তিনবার প্রার্থী বাছাই সভা-সমাবেশ করলেও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তারা।
আগামী ১৭ জানুয়ারি মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ধায্য রয়েছে। সেই হিসেবে আর মাত্র তিন দিন বাকী রয়েছে। দলের মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে পৌর বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে বিভাজন থাকায় কে প্রার্থী হবেন আর কাদের সমর্থনে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে নের্তৃবৃন্দের মাঝে দ্বিধাবিভক্তি থাকায় প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকর্মীরা। জানাগেছে ৪র্থ ধাপে মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি।
বিএনপির সমর্থক মাহমুদ খান মেয়র পদে দলের মনোনয়নের প্রত্যাশায় কিছু পোস্টার লাগালেও দলীয় নেতাকর্র্মীদের সাথে কোনো যোগাযোগ না রাখা ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে কোন রকম আলাপ আলোচনা রাখেনি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আঃ ছত্তার খান জানান, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত করার লক্ষে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবিদুর রহমান শরীফ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক সালাম কবির, মশিউর রহমান মাসুদ, দুলাল মাঝী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর হোসেন হাওলাদার, বরিশাল উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সায়লা সারমিন মিমু, সদর ইউনিয়ন সাধারন সস্পাদক বেল্লাল হাওলাদার, সেলিম আহেম্মদ দুলাল মল্লিক, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্তার আকনকে সদস্য করে একটি উপ-কমিটি করে একাধীকবার প্রার্থী নির্ধারনী সভার আয়োজন করে আমরা উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকলকে আহ্বান করলেও দলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে উল্টো পথে হাটছেন। ফলে তিনবার বৈঠক করেও আমরা মেয়র প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারিনি।
পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ রব খান জানান, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাছে কেউ মনোনয়ন চাওয়াতো দুরের কথা আমাদের সাথে কেউ আলাপও করেনি। এরপরও পৌর নির্বাচনে ধানেরশীষ প্রতীকে যে নির্বাচন করবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।
অপরদিকে দলীয় প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মনিরুজ্জামান মনির জানান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আল মামুন ও বিএনপি নেতা মাহমুদ খান তাদের কাগজপত্র বিএনপির কেন্দ্রিয় মনোনয়ন বোর্ডে জমা দিয়েছেন। তবে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতিকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে কাগজ পত্র জমা দেয়া কতটা গঠন তান্ত্রিক তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।