শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক॥
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, প্রবাদ বাক্য আছে “মাছে, ভাতের বাঙ্গালী জাতি”। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতির সাথে মাছ আর ভাতের সম্পৃক্ততা আছে। আমাদের দেশের ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ মৎস খাতের মাধ্যমে জীবিকার সাথে জড়িত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) বেলা ১ টায় মৎস অধিদপ্তরাধীন দেশীয় প্রজাতীর মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের সার সংক্ষেপ এবং প্রকল্পভুক্ত এলাকার তথ্যাদি সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশীয় প্রজাতীর মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির এ সভায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মৎস সম্পদ থেকেই আজ আমাদের জিডিপিতে ও অবদান থাকছে। ২০১০-১১ সালে যেখানে যেখানে আমাদের মৎস আহরণ ছিলো ৩০ লাখ মেট্রিকটন, সেখানে ২০১৯-২০ সালে ৪৫ লাখ মেট্রিকটনে উপনীত হয়েছে। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা এবং মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়, সুযোগ্য কর্মকর্তাদের অপরীসীম চেষ্টাতে।মৎসে আমাদের সাফল্যতা তাদের জন্যই সফল হয়েছে।
প্রকল্পের জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেন, আমাদের যে মৎস আহরণ হচ্ছে, সেটাকে আরো ১৬ শতাংশ বাড়ানোর জন্য লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আর এই ১৬ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যেই দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষনের ওপর জোড় দেয়া হয়েছে। ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, আমি আশাকরি সফলতার সাথে সেখানে পৌছাতে পারবো। এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আর সবাই মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবশ্যই পৌছাতে পারবো।
সভায় বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং প্রকল্পের জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি জসীম উদ্দীন হায়দার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, জেলা মৎস কর্মকর্তা প্রকল্পের জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: নূরুল আলমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।