শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রতিবেশীর বাড়িতে চলছিল ইফতারের আয়োজন। মা-বাবা সেখানে কাজে ব্যস্ত থাকায় শিশুদের সঙ্গে খেলছিল সাত বছরের মেয়ে। এর মধ্যেই উধাও হয়ে যায় শিশুটি। মেয়ের সন্ধানে নামেন বাবা-মা। ঘণ্টাখানেক পর সন্ধানও পেয়েছেন। তবে জীবিত নয়, পেয়েছেন মেয়ের বিবস্ত্র লাশ। তাও পরনের প্যান্ট ছিল শিশুটির মুখের ভেতর।
ঘটনাটি নওগাঁর মান্দার। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের নিম বাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাত বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল্লাহকে আটকও করা হয়েছে।
নিহত শিশুটি নিম বাড়িয়া গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন প্রতিবেশী মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল। সেখানে কাজ করছিলেন সাত বছরের শিশুটির বাবা-মা। মেয়েটি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। হঠাৎ তাকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন মা-বাবা।
একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে আবর্জনা দিয়ে কিছু ঢাকা দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে সেই আবর্জনা সরাতেই বেরিয়ে এলো শিশুটির লাশ। এরপর খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, শিশুটির পরনের প্যান্ট তার মুখের ভেতরে দেওয়া ছিল। কেউ তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুলকে আটক করা হয়েছে।