রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বরিশালের স্থানীয় সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ আগামীতে দলীয় মনোনয়ন না পেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় আসবে না এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তার অনুগত এক কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাংসদের সংসদীয় আসন বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) কাজিরহাট থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান মিয়া বাদী হয়ে রোববার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। এই মামলার বিবাদী সহিদুল ইসলাম স্থানীয় সন্তোষপুর গ্রামের মৃত অব্দুল কাদেরের ছেলে এবং পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজের উপাধ্যক্ষ। এছাড়া তিনি পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মুনসুর আহম্মেদ এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, গত ২৬ জানুয়ারি সঙ্গলবার মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন আমুর ডালিম মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠক আয়োজনে বিবাদী সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন- ‘পঙ্কজ দেবনাথের মনোনয়ন শেখ হাসিনার হাতে না। বরং পঙ্কজ দেবনাথকে মনোনয়ন না দিলে আ’লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
বাদী আর্জি এই বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যেমে বিবাদী এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উর্ধ্বে স্থান দেওয়ার সামিল। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো প্রকার সম্মান না দিয়ে শুধু শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকার মানহানি হয়েছে এবং বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
আইনজীবী এবং মামলার বাদী জিল্লুর রহমান মিয়া জানান, আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।’
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহমেদ বলেন, ‘একটি সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ কোনোভাবেই কারও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে পারেন না। তার পরও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করে একজন এমপিকে রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার কঠোর বিচার হওয়া উচিত।’
উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম অবশ্য বলেন, ‘আমি তো কারও বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেইনি। যেটা সত্য কথা তা-ই বলেছি।’ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও নির্বাচনী মঞ্চে বক্তব্য রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নিয়ম-কানুনই মানা সম্ভব হয় না।’
সাংসদ পংকজ দেবনাথ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনে আমার ব্যক্তিগত পছন্দের কোনো প্রার্থী নেই। যে নির্বাচিত হবে তাকেই মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে আমি সহযোগিতা করব।’ তবে কলেজ উপাধ্যক্ষের বক্তব্য শোনেননি বলে সে বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি স্থানীয় এই সাংসদ।
বক্তব্যটির ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
https://www.facebook.com/noman.hossain.39108297/videos/208725094190002