শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
সেখ মুজাহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট।।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি প্রিয় বাংলাদেশ। প্রকৃতি তার আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রূপ, রং ও চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য দিয়ে এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে অপার সৌন্দর্র্য দান করেছে। বর্তমানে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চিত্রা নদীর দু’পাড়ে জেগে উঠা বিস্তীর্ন চর ও আশেপাশের এলাকা জুড়ে এমনই এক প্রাকৃকিত সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। যা মুগ্ধ করেছে বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষকে।
এ এলাকায় প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নিয়েছে সুন্দরী, কেওড়া, গরান, গোলপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির সুন্দরবনের নানাবিধ গাছপালা। চিত্রার দু’পাড়ে এখন যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা এ বনকে ঘিরে দিন দিন বাড়ছে ভ্রমনপিপাসু দর্শনার্থী দের ভিড়। এ বনে গড়ে উঠেছে অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য। নদীর পানিতে ভেসে আসা বীজ থেকে এ বনের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের বীজ জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে। এসব বীজের মাধ্যমে চরের জমিতে জন্ম নিয়েছে সুন্দরী, কেওড়া, গরান, গোলপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছ। যেগুলো মাথা তুলে জানান দিচ্ছে নতুন বনের উপস্থিতি। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে বনের চারপাশ যা মুগ্ধ করে তোলে দর্শনার্থীদের এমনকি এ এলাকার লোকজনকেও। সুন্দরবনের আয়তন দিন দিন কমে আসছে।
এমতাবস্থায়চিত্রা পাড়ের নতুন এ বনটিকে ঘিরে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে। এ বনকে যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে পারলেএটি হয়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্পর অপার সম্ভাবনাময় খাত। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও সচেতন মহল ।