শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
আদালতে অবন্তিকার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। তবে বিচারক তা নাকচ করে শুনানি শেষে তাকে তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান, পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলার তদন্তে অবন্তিকা বড়ালের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অবন্তিকাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর অবন্তিকা বড়ালের ফ্ল্যাটসহ দু’টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আবেদন জানানো হয় আদালতে। দুদক উপপরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত আবেদনটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজের কাছে পেশ করা হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সাত মসজিদ রোডে ৩৯ নম্বর বাড়ির ১২/ই ফ্ল্যাটটি অবন্তিকার নামে। এখানেই তিনি থাকতেন। গত ২৮ ডিসেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক থেকে ডাকা হলে তিনি যথাসময়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হননি।
এরও আগে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম হাইকোর্টে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পি কে হালদারের ৭০-৮০ জন বান্ধবী আছেন যারা তার অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। এরপরই দুদক প্রশান্তের বান্ধবীর খোঁজে মাঠে নামে। এরই মধ্যে একাধিক বান্ধবীর খোঁজ মিলেছে। অন্যদেরকে খোঁজা হচ্ছে।
দুদক জানায়, ২৭১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। এই মামলাটি তদন্ত করছেন উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এই তদন্ত পর্যায়ে প্রশান্তের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বান্ধবীদের সম্পদেরও বের করা হচ্ছে।