শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
শামীম তালুকদার, সুনামগঞ্জ।।
সুনামগঞ্জের ছাতকে বাড়িয়ান ভূমি জবরদখল ও বেত কাটতে বাঁধা দেওয়ায় হতদরিদ্র চার নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের হাইলকিয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, সকাল সাড়ে এগারটার দিকে সমসর উদ্দিনের বাড়িতে লাগানো বেত জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের শহর উদ্দিন, জহর উদ্দিন, হুসন আলী, শামীম, রেজা, জামিল, নজুম, মাছুম, সাজু ও সাব্বির। এ সময় সমসর উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা কেউ বাড়ীতে না থাকায় সমসর উ্িদ্দনের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও দুই ভাইয়ের স্ত্রী রহিমা বেগম এবং সেলিনা বেগম গিয়ে আপত্তি করেন। আপত্তি করার কারনে আছিয়া বেগম, রহিমা বেগম ও সেলিনা বেগমকে বেধরক মারপিট করেন ও শ্লীলতাহানী ঘটান প্রতিপক্ষের লোকজন। তাদের কান্না ও বাচাঁও বাঁচাও ডাক শুনে ঘর থেকে এগিয়ে আসেন সমসর আলীর বোন জমিরুন বেগম। প্রতিক্ষের লোকজন জমিরুন বেগমকেও মারধর করেন। এ সময় প্রতিপক্ষ শহর আলী তার নিজের কাপড় নিজেই খুলে ঐ নারীদের সামনে বিবশ্র হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ঔ নারীরা আত্মরাক্ষার্থে বাড়ীতে দৌড়ে যান।
এ বিষয়ে আছিয়া বেগম, রহিমা বেগম ও সেলিনা বেগম বলেন, আমাদের পুরুষ মানুষ কেউ বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে লাগানো বেত কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আপত্তি করায় আমাদের মারধর ও পড়নের শাড়ী কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছেন।
সমসর উদ্দিনের বোন জমিরুন বেগম বলেন, স্বামীর বাড়ী থেকে বেড়াতে এসেছি। আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের মারতে দেখে এগিয়ে যাই। কিন্ত প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকের মারধর করেছেন।
সমসর উদ্দিন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের অত্যাচারে অসহায় হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযোক্ত জহুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে নারাজি প্রকাশ করেন।
ছাতক থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।