শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
ফিচার ডেস্ক।।
ভ্রমণপিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হাজার মাইল পাড়ি দেন। কেউ পছন্দ করেন অ্যামাজনের গহীন জঙ্গলে রোমাঞ্চকর মুহূর্তে সময় পাড় করতে। পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে ঘুরতে গিয়ে সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশতে না পারলে অপূর্ণতা থেকে যায়। ভিন্ন দেশের ভিন্ন গোত্রে সংস্কৃতির পার্থক্যটা সবচেয়ে বেশি ফুটে ওঠে খাবারের ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্র্যে। বেড়ানোর ফাঁকে এসব খাবার বেশ উপভোগ্য লাগে সবার কাছে। এমন কিছু ঠিকানা যেখানে আপনি বেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাবেন মনের মতো খাবারও।
জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ সারা পৃথিবীর মানুষ। ছুটি কাটানোর জন্য টোকিওর থেকে ভাল জায়গা খুব কমই আছে। তার ওপর যারা খেতে ভালবাসেন তাদের কাছে তো টোকিও স্বর্গের মতো। বিভিন্ন স্বাদের সুশির থেকে গুরমেট ট্রাই করতে পারেন। এছাড়া এখানকার বিখ্যাত গিয়োজা, ওকনোমিয়াকি, রামেন ও তাকোয়াকির স্বাদও উপভোগ করতে পারেন।
ইতালির টাস্কানি বেড়ানোর জন্য যেমন উপযুক্ত, তেমনই এখানকার খাবারও ভীষণই সুস্বাদু। এখানে এলে আপনি ট্রাই করতে পারেন হোমমেড পাস্তা, মাংস মেশানো টম্যাটো সস আর বিভিন্ন স্বাদের ওয়াইন যা জমিয়ে দিতে পারে আপনার ছুটিকে।
প্যারিস শুধু আইফেল টাওয়ারের জন্য বিখ্যাত নয়, এখানকার খাবারের সুখ্যাতিও রয়েছে সারা বিশ্বে। আইফেল টাওয়ারের সঙ্গে এখানকার হট-আউট-ওভেন ক্রোসেন্টস আর ক্রোক মহিসিয়ার জমিয়ে দিতে পারে আপনার ছুটির আমেজকে।
ভারতের সবজায়গার খাবারেরই সুনাম রয়েছে। এর মধ্যে আপনি যদি দিল্লি বেড়াতে আসনে তাহলে অবশ্যই ট্রাই করবেন কুলচা। মোঘলাই থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের কুলচা, ভারতের এই বিখ্যাত খাবারগুলোর চাহিদা রয়েছে দেশে বিদেশে সর্বত্র। তাজমহলের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রিটফুড, রেস্তোরাঁর খাবারের সুখ্যাতি আপনাকে করতেই হবে।
ভ্রমণপিপাসু ও খাদ্যরসিক মানুষদের জন্য আর্দশ জায়গা হল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। এখানে রাস্তার ধারে রয়েছে প্রচুর সুস্বাদু খাবারের রেস্তোরাঁ। মেলবোর্নের ফ্লিন্ডারস লেন এমনই একটা জায়গা যেখানে রয়েছে প্রচুর ভাল খবারের রেস্তোরাঁ।
মেক্সিকো শহরের কথা বললে সবার আগেই আসে বুড়িটোস, কার্নিটাস, এনচিলাদাস, টাকোসের কথা। আন্তর্জাতিকভাবেও মেক্সিকান খাবার ভীষণভাবে প্রশংসিত। সারা পৃথিবীর ভোজন রসিক মানুষ ভাল খাবারের সন্ধানে পাড়ি দেন মেক্সিকোতে।
বিভিন্ন জায়গার মানুষের অন্যরকম স্বাদের তৈরি করা মুখরোচক খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। ঘুরতে এসে সেখানকার প্রসিদ্ধ এসব খাবারের স্বাদ সত্যিই স্মরণ করা মতো।