সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে উড়তে থাকলেও, তৃতীয় ম্যাচে তাদের রুখে দিয়েছে প্যারাগুয়ে। ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
বলিভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনে ৩-৪-৩ ফরমেশনে একাদশ সাজান আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। নিকোলাস তালিয়াফিকোর বদলে নেন নিকোলাস গনজালেজকে। তিনিই আবির্ভূত হন আর্জেন্টিনার রক্ষাকর্তা হিসেবে।
ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় নিজেদের ডি-বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ড মিগুয়েল আলমিরনকে ফাউল করেন আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার লুকাস মার্টিনেজ। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন আরেক ফরোয়ার্ড রোমেরো।
এই পেনাল্টি গোল হজমের পরই আর্জেন্টিনার চেহারা বদলে গেছে, এমনটাই জানালেন দলের কোচ স্কালোনি। ম্যাচের বাকি সময়ের পুরোটা স্বাগতিকরাই নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে মনে করেন তিনি। এসময়ে দলের আক্রমণাত্মক খেলায় সন্তুষ্ট আর্জেন্টিনা কোচ।
ম্যাচ শেষে স্কালোনি বলেন, ‘প্রথম ১৫ মিনিটে খুব বেশি ভালো খেলতে পারিনি আমরা। আমার মতে, পেনাল্টির পর বাকি সময়টা আমাদের ছিল সত্যি বলতে। দল পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিউত্তর দিয়েছে, নিজেদের মতো করে সুযোগ তৈরি করেছে, যা যা করার দরকার ছিল সবই করেছে। আমরা এই ড্রটা অর্জন করে নিয়েছি।’
ম্যাচে জয় না পেলেও, নিজেদের অন্যান্য কাজগুলো ঠিকঠাক করার স্বস্তি আর্জেন্টিনা কোচের কণ্ঠে, ‘দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় আমাদের ছিল। আমি মনে করি, এই ম্যাচে আমাদের জয় ছাড়াও আরও অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। হ্যাঁ আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি, তবে আরও অন্যান্য বিষয়গুলো আমরা ঠিকঠাক করেছি।’
আর্জেন্টিনার হজম করা গোলটি ছিল পেনাল্টি, মার্টিনেজের করা সেই ফাউলে ভিডিও এসিস্টট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি, সরাসরি বাজিয়েছেন পেনাল্টির বাঁশি। দ্বিতীয়ার্ধে আবার মেসির একটি গোল বাতিল হয়ে যায় ভিএআরের সহায়তা নিয়ে।
এটি নিয়েও কথা বলেছেন আর্জেন্টিনা কোচ। তার মতে, কখন ভিএআর ব্যবহৃত হবে আর কখন হবে না- এ নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। স্কালোনির ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, ভিএআরের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্টঁ সিদ্ধান্তে আসা উচিত। আমি বলছি না এটা ভাল না খারাপ কিংবা অনাস্থাও প্রকাশ করছি না। তবে এর মানদণ্ডগুলো একত্রিত করার কথাই বলছি।’
পেনাল্টিতে গোল হজমের খানিক পরেই খেলার ধারার বিপরীতে ২৯ মিনিটের সময় একটি পরিবর্তন আনতে হয় আর্জেন্টিনা কোচকে। এজেকুয়েল পালাসিওকে তুলে জিওভানি লো সেলসোকে নামান স্কালোনি। পরে ৪১ মিনিটের সময় লো সেলসোর এসিস্টেই বল জালে জড়ান গনজালেজ।
ম্যাচে ফিরে আসে সমতা। এই পরিবর্তনের বিষয়ে আর্জেন্টিনা কোচের ভাষ্য, ‘নিকোলাস গনজালেজকে যথাসময়ের ব্যবহারের চিন্তা আমাদের মাথায় সবসময়ই ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে, সে এই দায়িত্বটা নিতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ গোলটা সেই করেছে, এটা আনন্দের বিষয়। সে নিজের মতো করেই খেলেছে, এটা আমার ভালো লেগেছে।’
তবে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার পাত্র নন আর্জেন্টিনা কোচ। তার ভাষ্য, ‘আমরা তিক্তমধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়ছি। কারণ আর্জেন্টিনা জেতার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা প্রতিপক্ষকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছি। দলের এটিচ্যুডকেও সম্মান জানাতে হবে আমাদের। যারা সবসময় জয়ের কথাই ভাবে।’