বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
স্পোর্টস ডেস্ক।।
টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর ঝড় তুললেন কাইরন পোলার্ড। একটা সময় ১২০-১৩০ স্কোর হয় কিনা ছিল সংশয়, সেখানে পোলার্ড ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ ওভারেই স্কোরে জমা করে ১৮০ রান। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক মাত্র ৩৭ বলে খেলেন হার না মানা ৭৫ রানের ইনিংস। তিনি দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরও শেষ হাসিটা হেসেছে নিউজিল্যান্ড। লকি ফার্গুসনের আগুন বোলিংয়ের পর জিমি নিশামের চমৎকার ব্যাটিংয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউইরা ডাকওয়ার্থ-লুইজ পদ্ধতিতে পেয়েছে ৫ উইকেটের জয়।
আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) অকল্যান্ডের টি-টোয়েন্টিতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত শুরু পাওয়া সফরকারীদের মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখতেও সময় লাগেনি। ২১ রানে ৫ উইকেট পাওয়া ফার্গুসনের তোপে খানিক পরই স্কোর হয়ে যায় ৫৯/৫। ওই জায়গায় থেকে দলকে টেনে তুলে ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন পোলার্ড। ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টির কারণে ১৬ ওভারে তারা ৭ উইকেটে ১৮০ রান করলেও ডাকওয়ার্থ-লুই মেথডে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ঠিক হয় ১৬ ওভারে ১৭৬। কঠিন এই লক্ষ্য নিশামের ২৪ বলে অপরাজিত ৪৮ ও মিচেল স্যান্টনারের ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ৪ বল আগেই মিলিয়ে নেয় কিউইরা। এতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আন্দ্রে ফ্লেচার (৩৪) ও ব্রেন্ডন কিংয়ের (১৩) ব্যাটে উদ্বোধনী জুটি থেকে পায় ৫৮ রান। কিন্তু এরপরই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ব্যর্থতার মিছিলে একে একে নাম লিখেছেন শিমরন হেটমায়ার (০), নিকোলাস পুরান (১) ও রোভম্যান পাওয়েল (০)।
ওই জায়গায় প্রতিরোধ শুরু পোলার্ড। সময় গড়ানোর সঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৭৫ রানের ইনিংস। যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন ফাবিয়েন অ্যালেনের (২৬ বলে ৩০) কাছ থেকে।
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার লকি ফার্গুসন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই পেসার ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। আর ২টি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি।
১৬ ওভারে ১৭৬ রানের লক্ষ্য আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের যখন দলীয় মাত্র ৭ রানে ফেরেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল (৫)। আরেক ওপেনার টিম সেইফের্টও (১৭) বেশিদূর যেতে পারেননি। তবে অভিষেকে আলো ছড়িয়েছেন ডেভন কনওয়ে। ওয়ান ডাউনে নেমে ২৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের কার্যকরী ইনিংস। ইনিংসটা ছোট হলেও গ্লেন ফিলিপসের অবদান অনেক। মাত্র ৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় তাণ্ডব চালিয়ে করে যান ২২ রান।
অভিজ্ঞ রস টেলর পুরোপুরি ব্যর্থ। রান আউট হয়ে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। যদিও ওই ধাক্কা কাটিয়ে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন নিশাম ও স্যান্টনার। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে নিশামের ২৪ বলে খেলা অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে ৩ ছক্কার মার। আর স্যান্টনার ১৮ বলে ম্যাচজেতানো ৩১ রান করতে মেরেছেন ৩ ছক্কা।
ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে সফল বোলার ওশান টমাস। ২৩ রান খরচায় এই পেসারের শিকার ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন শেল্ডন কটট্রেল ও পোলার্ড।