শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
সালেহা আক্তার।।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর যুগান্তরে ‘প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট আর কতদিন’ শিরোনামে মো. সিদ্দিকুর রহমানের একটি লেখা প্রকাশিত হওয়ায় পর সরকারের টনক নড়েছে বলে মনে হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- প্রাথমিকে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই শিক্ষক সংকট দূর করা হবে।
পরিতাপের বিষয় হলো, ২০১৮ সালে (২০১৪ স্থগিত) অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশীদের নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা দীর্ঘ ৪ বছর পর গ্রহণ করা হয়। পুল-প্যানেলভুক্ত ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ সম্পন্ন করতে ৪ বছর সময় লাগে। ফলে ২০১৪ সালের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। ৪ বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় আমরা অন্তত ৪টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা এবং শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় আমাদের প্রাথমিকে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতার কারণে আমরা একাধিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছি। এ অবস্থায় ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত (২০১৪ স্থগিত) শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চুড়ান্ত নিয়োগবঞ্চিত ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
লেখক: আহবায়ক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রত্যাশী।