শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলে মূল শক্তিশালী তিন দলই কঠিন সমীকরণে পড়েছে। আজই (১৮ ডিসেম্বর) সেই সমীকরণের জট খুলে একটা পরিষ্কার অবস্থানে এসে যাবে কারা যাচ্ছে ফাইনালে।
পাঁচ দেশের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের বিদায় হয়ে গেছে। ভুটান শূন্য হাতে ফেরেনি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৫-০ গোলে। সেটাই ছিল একমাত্র জয়, বাকি সব ম্যাচে হেরেছে। আর লঙ্কার মেয়েরা হারের গ্লানিতে শেষ। তারপরও আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। সান্তনা হিসেবে একটা জয় পেলে মুখ দেখানোর জায়গা পাওয়া যাবে। সেই হিসাবের আগে এখন টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ হচ্ছে তিন দল। ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপাল ফাইনালে লড়াইয়ে। বুধবার ফাইনাল।
ভারতকে হারিয়ে খেলাটা জমিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ। ভারত এখন এমন এক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে যেখান থেকে বেঁচে ওঠা কঠিন। ফাইনালে উঠতে হলে নেপালকে হারাতে হবে। যদি ভারত হেরে যায় তাহলে নেপালের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশও এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে।
বাংলাদেশের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ভারত ম্যাচের দিকে না তাকিয়ে নিজেরা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট হাতে পেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজকে ভারতের বিপক্ষে নেপালের রেজাল্ট যেটাই হোক। বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কাকে হারায় তাহলে ১০ পয়েন্ট পেয়ে ফাইনালে ওঠবে। তারপরও একটা কৌতূহল থাকবে সেটা স্বাভাবিক। দিনের প্রথম ম্যাচে ভারত-নেপালের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ভাগ্যটাও নির্ধারণ হয়ে যাবে। সেটাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ছোটন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সাত মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করে ৩ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকিটা সময় ভারতীয় নারী ফুটবলারদের গোল শোধের সুযোগ দেওয়া হয়নি কিংবা সুযোগ পায়নি তারা। তবে সমীকরণে এটাও বলে রাখা ভালো। যদি ভারত-নেপাল ম্যাচ ড্র হয় এবং বাংলাদেশ হেরে যায় শ্রীলঙ্কার কাছে তাহলে বাংলাদেশ বিদায় হয়ে যাবে। অতএব নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ নেই কোচ ছোটনের।
আজকের খেলা: ভারত-নেপাল, বিকাল ৩টা এবং বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, সন্ধ্যা ৭টা। দুটো ম্যাচই কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।