শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বরগুনার বামনা উপজেলায় ফেসবুকে পোষ্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় বামনার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত আসিফ ও রিন্টু ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় বি এন পি নেতা মোঃ শফিকুল ইসলাম রাজার ছেলে। আহত অপরজন হলের মৃত্যু বেলায়েত হোসেন খানের ছেলে ও ডৌয়াতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন খান।
নাম না বলার শর্তে কয়েকজন প্রতক্ষ্যদর্শী বলেন, বামনা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদেকের একটি পোষ্টে কমেন্ট করেন ডৌয়াতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন খান। জসিম উদ্দিনের সেই কমেন্টকরাকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১১টার সময় আহত আসিফের বড় বোন ও সাদেকের স্ত্রী তানিয়া ডৌয়াতলা বাজারস্থ বর্তমান ইউ পি সদস্য শফিকুল ইসলাম রাজার বাসার সামনে জসিম উদ্দিনের গতিরোধ করে পায়ের জুতা দিয়ে দুটি পিটান দেয় জসিম উদ্দিনকে। এসময় জসিম উদ্দিন তানিয়াকে একটি থাপ্পর দিলে তানিয়ার মা নাসিমা বেগম দৌড়ে এসে জসিম উদ্দিনকে চিৎকার দিয়ে মারধর করা শুরু করে। নাসিমা বেগম এর চিৎকারে ঘরে থাকা আসিফও দৌড়ে এসে জসিম উদ্দিনকে মারধর করা শুরু করলে জসিম উদ্দিন দৌড়ে গিয়ে জনৈক সবুজের গার্মেন্টেসের দোকানে আশ্রয় নেয়। খবর শুনে আহত আসিফের বাবা শফিকুল ইসলাম রাজা ঘটনা স্থলে এসে ইউনিয়ন পরিষদে শালিশ মিমাংসার কথা বলে জসিম উদ্দিন তার বাড়িতে পাঠানোর সময় বামনা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, তানিয়ার স্বামী সাদিকুর রহমান সাদেক জসিম উদ্দিন কে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করলে জসিম উদ্দিন দৌড়ে জনৈক কালামের হার্ডওয়ারে আশ্রয় নেন। এ সময় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে কালামের দোকানে থাকা টিউবওয়েলের হাতল ছুড়ে মারলে আসিফের মাথায় লেগে মাথা ফেটে যায়। ছুড়ে মারা টিউবওয়েলের হাতলের আঘাতে আসিফের বড় ভাই রিন্টুর পায়ে লেগে পায়ে কিছু অংশ ফেটে যায়। অপর দিকে ছুড়ে মারা টিউবওয়েলের হাতল আসিফের বড় ভাই রিন্টু জসিম উদ্দিনকে লক্ষ করে ছুড়ে মারলে গায়ে পরে আহত হয়। আহত ৩ জনই বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম বলেন, উভয় পক্ষ চিকিৎসাধীন আছে, ডৌয়াতলা বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিও শান্ত আছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।