শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
ববি প্রতিনিধি।।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক ( সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫.৭৮ শতাংশ। শনিবার (২০ আগস্ট ) দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘গ’ ইউনিট বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৮৭৭ জন। দ্বিতীয়বারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ১১.৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পরীক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সকল প্রকার আর্থিক ও মানসিক কষ্ট লাঘবের জন্য একটি গুচ্ছে দ্বিতীয় বারের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিচ্ছি আমরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত “খ” ইউনিটের আজকের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি সকলের সহযোগিতায় সমস্ত প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি এক আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একটি ছাতার নিচে সম্পন্ন করার জন্য যাতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তি পরীক্ষার ভোগান্তি আরও লাঘব করা যায়।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবার কথা জানিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ক ইউনিটের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা- অবিভাবকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
মহাসিন নামের একজন পরীক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের আর্থিক ও মানসিক উভয় কষ্টই লাঘব হয়েছে। গুচ্ছে একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
নওরিন নামে আরেক ভর্তি পরীক্ষার্থী “গ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন বলে উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আমি পরীক্ষা দিতে পারতাম না কিন্তু গুচ্ছের মাধ্যমে সেটি পেরেছি।