শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ও তার কর্মি বাহিনীর হুমকিতে নৌকার সমর্থকরা গ্রাম ছেড়ে পালানোর তথ্য পাওয়া গেছে। চার গ্রামের জনগণ পুলিশী পাহাড়া চায়।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নৌকার প্রার্থীর নিকট ভোটে হেরে যাবেন এমন আশংকায় ৯ জুন হতে সোনার বাংলা, রামরা, পাকুরগাছিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামে বাড়ী বাড়ী গিয়ে রামদা ছেনা ডেগার প্রদর্শন করে সাধারণ ভোটারদের ঘোড়া মার্কায় ভোট না দিলে গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনার বাংলা বাজারে রাতে হামলা করে সাতটি দোকান ভাংচুর করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ জালাল ও রিপন মাষ্টারের দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। ১০ ও ১১ জুন একই স্থানে আবার ঘোড়ার প্রার্থী হামলা করে। ১২ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী নয়া বাজার নামক স্থানে নৌকার প্রার্থীর পথসভায় হামলা করে ১৩ টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। দুটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। নয়টি মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন নিজে ছেনা দিয়ে কুপিয়ে মজনু শরীফকে মারাত্মক জখম করে। নয়টি চল মেরে মজনুর হাত পা ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।
রোববার সকাল হতে ওই প্রার্থী রামদা ছেনা নিয়ে চারটি গ্রামের সাধারণ জনগণকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নৌকার সমর্থকদের গ্রাম ছেড়ে পালাতে বলে। জাঙ্গালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ীতে ঢুকে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে। ওই গ্রামের মনিরকে ঘোড়ার সমর্থক মোস্তফা নির্বাচনের আগে গ্রাম ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে। রামরা গ্রামের রিপন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভয়ে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না। চারটি গ্রামের সাধারণ মানুষ এখন জিম্মি। আমরা পুলিশী টহল চাই। রিপন আরও বলেন, জেলা চেয়ারম্যানের ভাই বিধায় তিনি এমন কর্মকান্ড চালায়। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নৌকার প্রার্থী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর তান্ডবে চার গ্রামের লোকজন ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পুলিশী টহল জোরদার না হলে সাধারণ ভোটার কেহ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন আসামীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।