বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক॥
বরিশাল রুপাতলী বাস-মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহবায়ক আজিজুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে ষ্টান্ডের সাধারন বাসচালক ও শ্রমিকরা বরিশাল-পটুয়াখালী ও ঝালকাঠী সড়কে বিক্ষোভ ঝাড়ু মিছিল করে। সোমবার (২২ ফেব্রয়ারী) বেলা ১১টায় এই বিক্ষোভ মিছিল কর্মসুচি পালন করে।
জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর গভীররাতে হামলা করে মারধর ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ও হামলাকারী মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ দুই শ্রমিককে গ্রেফতার করায় তাদের মুক্তি সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে তারাও ২১ রুটের অভ্যন্তরীন সড়কের সকল যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ করে রুপাতলী সড়কে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের চলমান বিরোদের মধ্যে কয়েকদিন আগে রুপাতলী বাস-মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল মহানগর স্বোসেবক লীগ আহবায়ক আজিজুর রহমান শাহিন একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বর্তমান বাস-মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনকে অভিযুক্ত করে এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য তাকে দায়ী করে স্বাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রুপাতলী বাস-মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। এর ধারাবাহিকতায় শাহিনের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ঝাড়– মিছিল বেড় করে।
এব্যাপারে রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘাত হয়েছে বিআরটিসি বাস স্টাপদের সাথে আমাদের সাথে তাদের কোন সংঘাত হয়নি।
সেখানে রাতের হামলার ঘটনায় আজিজুর রহমান শাহিন বর্তমান সাধারন সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট স্বাক্ষাৎকার দিয়ে শিপনকে দোষি বানাবার চেষ্টা করার প্রতিবাদে আজকের পর থেকে রুপাতলী বাস স্টান্ড থেকে কোন চালক ও শ্রমিকরা শাহিনের গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবে শাহিনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত।
এব্যাপারে সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহিন বলেন, আমি ত্রিশ বছর রুপাতলী বাস-মালিক সমিতির দায়ীত্ব পালনকালে এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হবার পর প্রায় শ্রমিকদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হলে আমি তা দ্রুত সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছি। আমি না পারলে প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে সমাধান করে ফেলেছি একথা বলায় যদি আমাকে দোষি মনে করে তাহলে তিনি দোষ স্বিকার করতে রাজি আছেন।