শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
অসহনীয় চাপ আর ধাক্কাধাক্কির লম্বা লাইন। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষের ঢল, যেনো একটু কম দামে পণ্য পাওয়ার জন্য প্রচন্ড রোদে নিরলস প্রচেষ্টা। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
আমতলা মোড় পানির ট্যাঙ্কির কাছে টিসিবির ডিলার ইকবাল হোসেন জানান, ৫ লিটারের ১০০ বোতল এবং ২ লিটারের ২৫০ বোতল এর মোট ০১ হাজার লিটার তেল, ৪০০ কেজি চিনি আর ৫০০ কেজি ডাল মোট পণ্যের পরিমাণ ১৯০০ কেজি’র সরবরাহ নিয়ে দিন শুরু হয়। কিন্তু চাহিদা প্রায় ৩ হাজার কেজি। তাই চাহিদা পূরণে তাদের হিমশিম খেতে হয়।
এছাড়াও আলিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট এর ডিলার শাহীন হোসেন, নগর ভবন পয়েন্টের ডিলার মনির হোসেনও দাবি করেন চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য।
টিসিবির বরিশাল অফিস প্রধান শহিদুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য বিধি অমান্য ও অনিয়ম স্বজনপ্রীতি হচ্ছে কিনা সরেজমিনে দেখতে যেয়ে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করেছেন। নিজে হ্যান্ড মাইক দিয়ে সাস্থ্য সচেতনতা ও সারিবদ্ধ ভাবে পণ্য নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
ডিলারদের দাবি বিশৃঙ্খলা এবং অতিরিক্ত চাপ সামাল দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে টিসিবির অফিস প্রধান এই প্রতিবেদককে আশ্বস্থ করেন যে আগামীকাল বুধবার (১৪ জুলাই) থেকে আনসার নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নগরীর শিকদার পাড়ার মাহিন্দ্র চালক মঞ্জু জানান সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থেকেও অনিশ্চয়তার ভিতর আছেন আসলে পণ্য নিয়ে বাসায় যেতে পারবেন কি না। এছাড়াও সাগরদী বাজার এলাকার জাহানারা, রুপাতলির নাসিমা বেগম সবার ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পাওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান প্রকাশ করেন।
টিসিবির বরিশাল অফিস প্রধান মো: শহিদুল ইসলাম জানান, মোট ২৪ টি গাড়িতে বরিশাল মহানগর ৫-৬ টি, প্রতিটি জেলা শহরে ২ টি করে এবং বাকি গাড়িগুলো ৪২ টি উপজেলায় চক্রাকারে ২৯ জুলাই পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
ঈদ সামনে রেখে এবং চাহিদার বিপরীতে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যাতে এই পরিমাণ বাড়ানো যায়।