শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী ডেস্ক।।
বরিশাল নগরীতে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম মঞ্জুর মোর্শেদ (৭৫) নিজ বাসায় খুন হয়েছেন। বুধবার (১১ আগস্ট) রাতে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেন। নগরীর বর্ধিত এলাকা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চহঠা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের সিআইডিসহ গোয়েন্দা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঞ্জুর মোর্শেদ কৃষি ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক পদে থেকে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়িতে থেকে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্র্যাকটিস করতেন। তার একমাত্র ছেলে জগলুল মোর্শেদ প্রিন্স ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মঞ্জুর মোর্শেদ ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নওরোজ বারী ঘটনাস্থল থেকে জানান, দুই হাত পেছন থেকে এবং দু’পা বাধা অবস্থায় নিজ শয়ন কক্ষে মঞ্জুর মোর্শেদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় একটি সাদা কাপড় পেঁচানো ছিল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। বাসার আসবাবপত্র তছনছ দেখা গেলেও কিছু খোয়া গেছে কি-না তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাসার পেছন দিকে একটি জানালার শিক ভাঙ্গা থাকায় সেখান দুর্বৃত্তরা ঘরের মধ্যে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নওরোজ বারী আরও জানান, স্ত্রী রাবেয়া বেগম মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় ঘটনার রাতে মঞ্জুর মোর্শেদ বাসায় একা ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে জগলুল মোর্শেদ ২৮ নম্বর ওয়র্ডের ফিসারী সড়কের বাসায় থাকেন। ওই বাসায় মঞ্জুর মোর্শেদ আগে থাকলেও কয়েক বছর আগে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চহঠায় নিজ বাড়িতে গ্রামীণ সড়কের পাশে তিন কক্ষের একটি আধাপাকা ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে হাটতেন মঞ্জুর মোর্শেদ। বৃহস্পতিবার (১২ অগস্ট) সকালে মসজিদে না যাওয়ায় মুসুল্লিরা বাসায় এসে ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে সাড়া না পাওয়ায় তার ছেলেকে জানানো হয়। পরে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে শয়নকক্ষের মধ্যে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই বাসার প্রতিবেশী একটি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা চৌধুরী ডলি জানান, মঞ্জুর মোর্শেদ এলাকায় ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।