রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা রিপোর্ট।।
বরিশালে টানা তাপ প্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি এলো। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টির শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে।
টানা কয়েকদিন প্রখর রোদে পুড়েছে প্রকৃতি। এ বছর দেখা মিলেনি ঝড়-বৃষ্টির। টানা কয়েক মাসের অসহনীয় গরমের পর বরিশাল নগরীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হয়েছে। এতে নাগরিক জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। শীতল বাতাসে প্রশান্তি বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি এমনটি হয়, সেক্ষেত্রে এর নাম হবে ‘ইয়াস’।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যে তৈরি হতে যাচ্ছে, এর সাইড-ইফেক্ট (সোমবার) থেকে কিছুটা পড়তে পারে। আজ শেষ রাত থেকে চট্টগ্রাম, বরিশাল এসব এলাকায় প্রভাব পড়া শুরু করতে পারে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
এদিকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি আজ (২৩ মে) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণদক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দেওয়া হচ্ছে। সেটি যদি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ রূপান্তর হয়, তবে তা এক পর্যায়ে শক্তিশালী ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পুরো উপকূলকে সতর্ক থাকতে হবে।