রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার মোট বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ। ঘাটতির এই পরিমাণ অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় বেশি। যদিও অনুদানসহ হিসাব করলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এই পরিকল্পনায় আয় ও ব্যয়ের ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রীর বাজেট পরিকল্পনায় বাজেটের ঘাটতি মেটানোর এই পরিকল্পনার কথা উপস্থাপন করা হয়।
বাজেটের এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকারের তা ঋণ করে পূরণ করতে হবে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক উৎস থেকে। সেজন্য অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা ধরা হচ্ছে নতুন বাজেটে।
অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এটি বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। একইসঙ্গে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।সূএ-বাংলা ট্রিবিউন।