রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বস্তা ও কার্টুনভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন হাড়। বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো করা হয় এসব। মাথার খুলি ও শরীরের হাড়গুলো দেশের বিভিন্ন ক্রেতার পাশাপাশি বিদেশেও বিক্রি হতো। এই কঙ্কাল চোর চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি খুলি, দুই বস্তা পরিমাণ মানবদেহের কঙ্কাল ও কঙ্কাল প্রক্রিয়াজাত করার ক্যামিকেল।
পুলিশ জানায়, শনিবার পুলিশের কাছে খবর আসে ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় মজুদ করা হয়েছে মানুষের কঙ্কাল। পরে রাত ২টা থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান শুরু করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে আটক করা হয় বাপ্পি (৩০) নামে এক যুবককে। তিনি নগরীর কালিবাড়ি কবরখানা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযানে বাপ্পির হেফাজতে থাকা কার্টুনভর্তি ১২টি মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় দুই বস্তা হাড়। একই সঙ্গে মৃতদেহ দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করে কঙ্কাল করার ক্যামিকেলও উদ্ধার করা হয়। পরে রোববার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
পুলিশ আরও জানায়, বাপ্পি দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইতোপূর্বে তিনি একবার কঙ্কালসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই মামলায় জেলও খেটেছেন। কিন্তু এরপরও তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বাপ্পিসহ বেশ কয়েক সদস্যের একটি চক্র জড়িত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে। নিষ্ঠুরভাবে কবর থেকে মরদেহগুলো তুলে ক্যামিকেলের মাধ্যেম প্রক্রিয়াজাত করা হতো। পরে সেগুলো দেশিয় ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিক্রি হতো। হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে রোববার দেশের বাইরে পাচারের কথা ছিলো কঙ্কালগুলো। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে তার আগেই অভিযান চালায়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকাদার বলেন, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বাপ্পি নামে এক যুবককে আটক করা হয়। এ সময় বারোটি খুলি ও দুই বস্তা পরিমাণ মানবদেহের হাড় উদ্ধার করা হয়। এগুলো দেশের বাইরে পাচারের প্রক্রিয়া চলছিল। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।