বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০
রূপালী ডেস্ক।।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। তাঁদের জন্য এখানে চিকিৎসাকেন্দ্র ছিল মাত্র একটি। তবে অর্থসংকট দেখিয়ে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয় দুই বছর আগে, যদিও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এখনও বছরে জনপ্রতি ২০ টাকা করে স্বাস্থ্য ফি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই সময়ে স্বাস্থ্যসেবা ফি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা আদায় করলেও চিকিৎসাকেন্দ্রটি চালু করেনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধের জন্য কলেজ অধ্যক্ষ দায় চাপিয়েছেন শিক্ষক পরিষদের ওপর। আর কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ারের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু থাকা অবস্থায় তাঁরা অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা পেতেন। এখন সেই সুযোগটাও নেই।
এদিকে চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে এখনও ঝুলছে সবশেষ খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. মনীষা চক্রবর্তীর সাইনবোর্ড। এ নিয়ে ডা. মনীষা কলেজ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন।
ডা. মনীষা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা সদস্য সচিব। তিনি ওই পোস্টে জানান, ২০১৫ সালে বিএম কলেজে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। সপ্তাহে তিন দিন কর্মস্থলে যাওয়ার কথা থাকলেও নিজ দায়িত্ববোধ থেকে আরও এক দিন যেতেন ছাত্রী নিবাসে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তারা বন্ধ করে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার বলেন, শিক্ষক পরিষদ চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধের পক্ষে মত দেয়নি। তখন করোনার প্রাদুর্ভাবে কলেজ বন্ধ থাকায় এবং চিকিৎসকরা ঠিকমতো না আসায় তাদের না আসতে বলা হয়েছিল। তিনি জানান, চিকিৎসাকেন্দ্রটি ফের চালুর জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, করোনার সময়ে আর্থিক সংকট থাকায় চিকিৎসকদের না আসার জন্য বলা হয়েছিল। নতুন করে চালুর জন্য চিকিৎসক খোঁজা হচ্ছে।