বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে প্রাচীন সভ্যতা থেকে আধুনিকতার ডিজিটাল যুগ অবধি অনেক কিছুই বিলুপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে। সামাজিক বা পরিবেশগত কারনে মানুষ আধুনিকতার দিকেই ছুটে চলে। তেমনি পরিস্থিতিতে লালমোহন উপজেলা বাসীর আনন্দ বিনোদনের বড় মাধ্যম সিনেমা হলগুলোও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে এখন বিলুপ্তির দারপ্রান্তে এসেছে। আগামী প্রজন্মের নিকট একসময় এগুলো বুড়ো বুড়ি কিংবা দাদুমার গল্পে পরিনত হবে।
লালমোহনে লালমনি, বিনোদন, মধুছন্দা, মেঘনা ও সংগীতাসহ মোট পাঁচটি সিনেমা হল ছিলো। এক সময় এ হলগুলোতে ছবি দেখা ছিলো বিভিন্ন উৎসবের দিনে বাড়তি এবং বড় আনন্দ। কিন্তু ব্যবসায়িক মন্দা,পারিপার্শ্বিক নানা সমস্যা জটিলতার ফলে সদর রোডে অবস্থিত বিনোদন সিনেমা, উত্তর বাজারে মধুছন্দা, মঙ্গল শিকদারে মেঘনা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব হলের মালিকগন এ ব্যবসার পরিবর্তে অন্য ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন।
সবশেষে এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপে লালমনি সিনেমা হল চলছিল। তিন তলা এমন সিনেমা হল দক্ষিণাঞ্চলের অনেক উপজেলাতেই ছিল না। আমাদের পূর্ববর্তী পূরুষ এবং বর্তমান প্রজন্ম এই সিনেমা হলে ছবি দেখে চিত্ত বিনোদন উপভোগ করা ছিলো হরহামেশাই ঘটনা।
কিন্তু দুর্ভাগ্য লালমোহনবাসীর। আর কিছুদিন পর এই হল আর দেখা যাবে না। এরই মধ্যে ভবনটি নিলামে ভাঙ্গার জন্য টেন্ডার নিয়ে ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়েছে। আর এই লালমনি সিনেমা হল ভাঙ্গার সাথে সাথে লালমোহন উপজেলা সিনেমা হল মুক্ত হলো। ইতোপূর্বে বিনোদন সিনেমা হল থাকলেও সেখানে এখন মার্কেট। মঙ্গলসিকদার, গজারিয়া এক সময় সিনেমা হল থাকলেও এখন আর নেই। মধুছন্দাও বন্ধ বহু বছর থেকে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে ঘরে ঘরে ডিস চলে যাওয়ায় কেউ এখন সিনেমা হলে যায় না বলেই মালিক পক্ষ লোকসান মুক্ত হতে এ ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন।