সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
শফিকুল ইসলাম ইরান,বেতাগী।।
বরগুনার বেতাগীতে এক মহিলা ইউ’পি সদ্যসের স্বামীর কর্মকান্ড ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে।ইউ’পি সদস্য ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতা ও ত্রান দেয়ার নামে একাধিক লোকদের কাছ থেকে (৫০০-২০০০হাজার) টাকা আদায়ের অভিযোগ থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। উপজেলার ৬নং কাজিরাবাদ ইউনিয়নের (১,২,৩)নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ইউ’পি সদস্য মোসা. নাজমা আক্তার ও তার স্বামী মো. স্বপন এর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি ভাতা, বিধাব ভাতা, মৎস্য জীবিদের জেলের নাম ও বিজিএফ কার্ড এমনকি মহামারি করোনার ত্রান দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে নানা সহায়তার নামে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই স্বপন। স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগী আবদুল লতিফ, মো.জাফর, শাহআলম সহ বেশ কয়েকজন লোক জানান, তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে ফোন দেয় ইউপি সদস্য’র স্বামী স্বপন এবং সহায়তা প্রদানের নামে টাকা দাবী করে।
স্থানীয় মো.জাকির বলেন, নাজমা মেম্বারের স্বামী স্বপন জেলেদের চাল দেয়ার কথা বলে পনের শত টাকা নেয়ার সময় একই ইউনিয়নের অন্য ওয়ার্ডের মেম্বারদের হাতে টাকাসহ ধরাও পরেছে তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও শিশুখাদ্য সহায়তার নামে ভূয়া মাষ্টাররুল তৈরী করে নিজেরাই আত্নসাৎ করেছেন বলেও জানান তিনি।
নাম না বলার শর্তে বেশ কয়েকজন বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন এর সহযোগীতায় শুরু থেকেই ইউ’পি সদস্য নাজমা ও তার স্বামী স্বপন এমন অর্থ আত্নসাৎ করে আসছেন।
এছাড়াও সরেজমিনে তথ্য নিলে জানা যায়, অভিযুক্ত স্বপন লোকদের কাছে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে তারা টাকা নিয়ে বাড়িতে যায় এবং টাকা দিয়েও আসে এমন একাধিক লোকের সাথে কথা বলা ফোন রেকর্ড প্রতিবেদকের নিকট প্রমান স্বরুপ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য নাজমা ও তার স্বামী স্বপনকে ফোন দিলে বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ ব্যাপরে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আমি শুনেছি তবে এটি ষড়যন্ত্র।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব আহসান বলেন, এমন খবর শুনেছি তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি তদন্ত করে দেখবো।
বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, আমরা এ ব্যাপারে শুনেছি তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।