বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ, ১৪৩১
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ১নং বিবিচিনি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখল করে কলাবাগান তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মুজিব বর্ষের ত্রানের ঘর পেতে অসহায়দের দিতে হচ্ছে টাকা।
এলাকার আবদুস সত্তার জানান, উপজেলার দেশান্তরকাঠি গ্রামে ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমানের নিজ বাড়ি থেকে রশিদ সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারী বাঁধ ও রাস্তার পাশে সরকারী জমি দখল করে হাজার হাজার কলাগাছ রোপন করে এককভাবে ভোগদখল করে আসছেন।
আবুল বাশার নামের আরো একজন জানান, প্রতিবছর রাস্তার পাশে রোপিত কলাগাছের কলা বিক্রি করে কয়েকলক্ষ টাকা অবৈধ উপায়ে রোজগার করার পায়তারা করে করছেন। এছারাও ঐ বাগানে কলাগাছের পাশাপাশি আমড়া গাছসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছও রোপন করে চলেছেন তিনি।
এলাকার রুমা নামের এক অসহায় জানান, তাকে একটি ত্রানের ঘর দিবেন। এজন্য তাকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। টাকা দিতে অপরগত জানালে তাকে ঘর দিবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন। তিনি আরো জানান, মজিবর রহমান মেম্বারের সরকারী জমি দখলকরে সৃজিত বাগানে গাছপালা পরিচর্যায় কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সার বিতরন না করে সেখানে ব্যাবহার করার অভিযোগ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ও রাস্তায় যাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে সে সকল পরিবারগুলো বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইতোপুর্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ রাস্তায় সরকারী উদ্যোগে লাগানো গাছ চুরি করে বিক্রির অপরাধে ঐ মামলায় মজিবর রহমান জেলহাজতবাস করেছেন। এছারাও কয়েকদিন আগে ঐ এলাকার ডিসির হাট বাজারে পুরনো বাথরুম ভেঙ্গে নতুন বাথরুম নির্মান প্রকল্প থেকে স্লাবের রড নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এবং এসব রডগুলো নিজে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন।
এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগীরা জানান,১ নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে এলাকায় অনিয়ম দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন। ওয়াপদা প্রকল্পে যাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে তাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে মেম্বার এককভাবে ঐ সম্পত্তি দখল করায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান মেম্বার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এলাকাবাসির দাবী মজিবুর রহমান মেম্বারের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নুরুল ইসলাম বলেন,তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সততা মিললে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।