শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
চাচাতো বোনের সন্তানকে অপহরণ করেছিলেন এক যুবক। ভেবেছিলেন মুক্তিপণের ৪০ লাখ টাকা নিয়ে বড়লোক হবেন তিনি। তবে সে আশা আর পূরণ হয়নি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কামরুল হাসানকে। চাচাতো বোনের সন্তান আলহাজ প্রামানিককে (৮) অপহরণ করেছিলেন তিনি।
কামরুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার রুবেল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে না পেয়ে রাতেই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান জেনে অভিযান চালিয়ে ঢাকার বাড্ডা-রামপুরা ওভার ব্রিজের নিচে প্রাইভেটকার থেকে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আলহাজকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এ সময় শিশুটির বাবা-মা, অপহরণকারী কামরুল ইসলামকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ২১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় শিশু আলহাজ প্রামানিককে রেখে বাজারে যান তার বাবা। ৩০ মিনিট পর বাজার থেকে ফিরে আলহাজকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। না পেয়ে বড়াইগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন অপরিচিত একটি নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী। সেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই পুলিশের একটি টিম অভিযানে নামে।
তিনি জানান, শিশুটিকে কামরুল হাসান অপহরণ করে একটি প্রাইভেটকারে করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে কারাগারে পরিচয় হওয়া বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় রুবেলের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে কামরুলকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপচাঁচিয়ায় রুবেলের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে রুবেলের স্ত্রী আকলিমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় রুবেলের অবস্থান জেনে অভিযান চালিয়ে অসুস্থ অবস্থায় অপহৃত আলহাজকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে রুবেল পালিয়ে যায়। আলহাজকে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়।