শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি।।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় প্রতিপক্ষের নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন শিমা বেগম নামের এক গৃহবধু ও তার পরিবারের সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিমা বেগম উপজেলার সিংহখালী গ্রামের মৃত চাঁন জোমাদ্দারে মেয়ে।
ভুক্তভোগি শিমা বেগমের অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ আগষ্ট বিকালে উপজেলার সিংহখালী গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জামাল জোমাদ্দার (১৮), মেয়ে হাফিজা বেগম(২৮), রাশিদা আক্তার (২০), স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০) ও হাকেম জোমাদ্দারের ছেলে হাসিব জোমাদ্দার (২৭),হাবিব জোমাদ্দার (২৫) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা লাঠিসোঠা ও দাড়ালো অস্ত্র নিয়ে আমার ভাই ও ভাবীর ওপর হমামলা চালায়। এতে আমার ভাইয়ের বাম হাতের পাঞ্জার হাড় ভাংগিয়া গুরুত্বর আহত হয়। হামলাকারীরা আমার ভাবীকে মারধর করে তার গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের ১ ছড়া স্বর্নের চেইন ছিড়িয়া নিয়া যায়। ঘটনার এক পর্যায়ে উক্ত হামলাকারীরা আমার বসত ঘর থেকে তারানোর জন্য ঘরে ভাংচুর চালিয়ে বিভিন্ন আসবাপত্র তছনছ করে। এতে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রতিবাদ করলে আমাকে এলোপাথালী চর থাপ্পর দিয়ে পড়নের কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী করে এবং আমার গলায় থাকা ৮ আলা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার পর ঘরে আলমিড়া ভেঙে নগত ৫০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায় তারা। ওই সময় ডাক চিৎকার দিলে পাশ্ববর্তী থাকা আমার স্বজনরা এগিয়ে আসিলে হামলাকারীরা আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়া চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে চিকিৎসার জন্য ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনায় শিমা বেগম বাদী হয়ে গতকাল (শুক্রবার) ভাণ্ডারিয়া থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।