শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি।।
মৃত আয়েজ উদ্দিন সরদারের মেয়ে বকুল বেগম (৫৮) । তার স্বামী নজরুল ইসলাম পরিবার ও সংসারের কোন খোঁজ খবর নিতো না। পাঁচ সন্তান নিয়ে অসহায় বকুল পথে প্রান্তে ঘুরতো আর জীবন কাটাতো অনাহারে। বাবার ভিটায় মাথা খোঁজার ঠাই টুকুও কেড়ে নিয়েছে ইতিপুর্বে প্রভাবশালীরা। সেই থেকেই দিবারাত্রি সন্তানদের নিয়ে বকুলের পথ চলা।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সমাজ সেবক ওয়াসিম মন্নান উৎপল হাওলাদারের অভিযোগে জানাযায়, বকুলের অসহায় জীবনের কথা চিন্তা করে উপজেলার সর্দার পাড়ায় আব্দুল ওয়াহাব হাওলাদারের মালিকানাধীন টালীর মিলে আরদান প্রোডাক্টস ডেভলপমেন্ট এন্ড মার্কেটিং ই,পি,ডি এর জায়গায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় । সেখানে একদল ভুমিদস্যুদের রোসানলে পরে নিয়মিত শারীরিক,মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক রকমের মাটি কামড়িয়ে টিকে থাকতে চেয়েছিলো বকুল।
কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারী রাতের আঁধারে বকুলের জীবনে ঘটে যায় এক কালো অধ্যায়। ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে রাতের আঁধারে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি বকুলকে ভয়ভীতি,শারিরীক আঘাত করে এবং খড়কুটো তৈরির আশ্রয় স্থলটি ভেঙে মাটিতে ঘুড়িয়ে দেয়। ফলে বকুলের ৩০ বছরের ঠিকানা, সেই শেষ মাথা গোঁজার জায়াগা টুকু হারিয়ে আবারও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকে ওই অসহায় পরিবার ও বৃদ্ধ বকুল।
অবষেশে দুঃখি এই মানুষটি গত ১১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত আটটার দিকে তার বড় ছেলে খোকনের ভাড়াটিয়া বাসায় অসুস্থ বকুল মৃত্যু বরণ করে । এ ভাবেই ধুকে ধুকে শেষ হয়েছে একজন দুঃখি বকুলের জীবনের শেষ কথা আর এতে প্রকাশ পায় মানবিকতার চরম অবক্ষয়।