শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের এক পিয়নের ভূল চিকিৎসায় একটি গর্ভবতি গাভীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ওই গাভী চিকিৎসা করা পিয়নের নাম আব্দুর রাজ্জাক। উপজেলার গ্রাম গঞ্জে ওই পিয়ন এখন গভাদি পশুর বড় ডাক্তার বণে গেছে বলে এলাকাবাসী জানান!
উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াদ শিকদার জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমার গর্ভবতি গাভীটি অসুস্থ্য থাকায় আমি উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সোমা সরকারের কাছে গেলে তিনি আমার গাভী দেখে চিকিৎসা করেন এবং চিকিৎসা পত্র লিখে দেন। তারপর কয়েকদিন পর গভী আরো অসুস্থ্য হলে গত ১০ অক্টোবার উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পিয়ন আব্দুর রাজ্জাক গিয়ে আমার গাভীর শরীরে ২ থেকে ৩ টি দামি ইনজেকশন পুষ করলে গভীটি মারা যায়। মৃত্যু গাভীর দাম প্রায় দুই লাখ টাকা। ওই পিয়ন কি ধরনের ইনজেকশন দিয়েছে তা আমি জানিনা।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সোমা সরকার তার পিয়ন ও ঔষুধ কম্পানীর এমপিও এবং এসআর দারা দীর্ঘদিন ধরে গভাদি পশুর ইনজেকশন সহ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিয়ন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডাঃ সোমা সরকার আমাকে পাঠিয়ে ওই গাভীকে ইনজেকশন করতে বলেন। তবে, গাভী মৃত্যুর ব্যপারে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ সোমা সরকার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, আমাদের জনবল কম। আমি একা শুধু ডাক্তার। তাই পিয়ন অথবা লোকজন দিয়ে চিকিৎসা চালিয়েছি।